নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
যখন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন তার অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন গোয়ালতোড়ের পিনাকী ঘোষ, রাজু পাত্র, শালবনির শিশির মাহাতো সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক।
যখন শুভেন্দু অধিকারী করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন পিনাকী ঘোষের নেতৃত্বে মা সনকা মায়ের মন্দিরে পাঁঠা বলি দিয়ে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে পুজো দিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
দাদার নির্দেশ মেনে লকডাউনের সময় তারা মানুষের পাশে ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাই একসময় যারা শুভেন্দু অনুগামী ছিলেন, তারা প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাই দাদার অনুগামীরা দাদা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার গোয়ালতোড়ের মা সনকা মায়ের মন্দিরে গিয়ে রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে এলাকায় মিছিল করে পাঁঠা বলি দিলেন।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের আমলে সব থেকে বেশী বঞ্চিত হয়েছেন আদিবাসীরা! কোচবিহারে ক্ষোভ প্রকাশ খগেনের
পিনাকী ঘোষ ও রাজু পাত্র বলেন, “দাদা অনেক আদর্শের কথা বলেছিলেন। দাদা এক সময় বলেছিলেন বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও। বিজেপি কে জঞ্জাল পার্টি বলেছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে যুবসমাজকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাদা আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে রাতের অন্ধকারে বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুনঃ শাহের অভিযোগ মিথ্যার বেসাতি, পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি সৌগতর
তাই বেইমান দাদার বিরুদ্ধে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করব। তাই বেইমান দাদাকে ধিক্কার জানিয়ে আমরা মা সনকা মায়ের মন্দিরে মঙ্গলবার পাঁঠা বলি দিয়েছি। জঙ্গলমহলের মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর পাশে নেই। জঙ্গলমহলের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584