জীবন যুদ্ধে প্রতিদিন লড়ছে মেধাবী বাপ্পা

0
63

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

talented bappa doing hard work | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের নটুয়া ডাংগির এক মেধাবী ছাত্র বাপ্পা রায়। হাজার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪২৩।আগামীতে তার ইছা আর ও পড়াশুনা করে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় আগামীতে তার বাধ সদছে অর্থ। বাপ্পার বাবা শিবু রায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক।

talented bappa doing hard work | newsfront.co
জমিতে কাজ করছে বাপ্পা।নিজস্ব চিত্র
talented bappa doing hard work | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

কিন্তু ইট ভাটা তে এই সময় কাজ না থাকার দরুন তাকে যেতে হয়েছে কাজের জন্য শিলিগুড়িতে। অপরদিকে তার মা নিতি রায় দিনমজুরের কাজ করেন।সেই দিয়ে বাপ্পা এবং তার বোনের পড়াশোনার খরচ ও সংসার খরচ চালাত এতদিন বাপ্পার বাবা মা।কিন্তু এখন বাপ্পার উচ্চশিক্ষার জন্য দরকার প্রচুর অর্থের ,এত অর্থ বাড়ির মানুষরা কিভাবে জোগান দিবেন সেটা ভেবেই পাচ্ছেন না বাপ্পা।

আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

talented bappa doing hard work | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র
talented bappa doing hard work | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

বাপ্পার ইচ্ছা আগামী দিনে শিক্ষকতা করে বাড়ির আর্থিক সংকট দূর করা। কিন্তু বর্তমানে অর্থের অভাবে কিছুই করতে পারছেন না সে। বাপ্পা ও তার পরিবারের সকলের সাধারন মানুষদের কাছে আবেদন করেন যাতে সকলে যেন বাপ্পার এই কষ্টের সময় তার কাছে এগিয়ে এসে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে সাহায্য করেন।বাপ্পা যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সেই সময় বাড়ির ইলেকট্রিক বিল সঠিক সময় না দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ পর্ষদ অফিস থেকে এসে তার বাড়ির লাইন কেটে দিয়েছিল।

যে লাইন এখনো পর্যন্ত তারা ঠিক করতে পারেননি অর্থের অভাবে।তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই কুপির আলোতেই তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে।কুপির আলোতেই পড়াশোনা করেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতে ভালো ফল করে বাপ্পা।

অর্থের অভাব এর জন্য অন্যের জমিতে মাঝে মাঝে ধান কাটতে যেতে হয় বাপ্পা কে।বাপ্পার মা নীতি রায় জানান, বাড়িতে খুবই অভাব এর মধ্যে তাদের চলতে হচ্ছে।আর্থিক অভাবের মধ্যেও তার এক ছেলে এক মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে আজকে এতদূর নিয়ে আস্তে পারলেও আগামীতে আর তাদের সাধ্য নেই ছেলের পড়াশোনা খরচ যোগানোর। তাই ছেলে কে বলেছি আর পড়াশোনা করতে হবে না। এর বদলে শ্রমিকের কাজ করতে।

সর্বস্তরের মানুষের কাছে আবেদন বাপ্পার পাশে এসে দাঁড়িয়ে তাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করুন ।উল্লেখ্য কালিয়াগঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মুস্তাফা নগরের নটুয়া ডাংগি।কালিয়াগঞ্জ থেকে কুনড়ে যাওয়ার পথে মাঝে একটি এবড়ো খেবড়ো সরু রাস্তা দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই এক চিলতে মাটির বাড়িতেই বসবাস করে এই বাপ্পা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here