‘অভাব’! চায়ের দোকান ইঞ্জিনিয়ারের

0
315

অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানঃ

একজন সাধারণ ঘরের চা বিক্রেতা তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও তার নিজের মেধার জোরে আজ ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

tea stall | newsfront.co
দোকানে সঞ্জু। নিজস্ব চিত্র

তবে আজ যার কথা বলব সেও একজন চা বিক্রেতা। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না তার। কী সেই ঘটনা?‌ ঘটনাস্থল মোদির রাজ্য গুজরাট নয়, এই বাংলাতে।চাকরি জীবনে মেধা দিয়েও উপযুক্ত দাম না পেয়ে কার্যত হতাশ হয়ে শেষে সংসারের বোঝা কাঁধে নিয়ে চায়ের দোকান খুলে বসল ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জু কুণ্ডু।
ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী সঞ্জু কুণ্ডু ২০১৯ সালে জলপাইগুরি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে। পড়াশোনা করার জন‍্য সেই সময় একটি ব‍্যাঙ্ক থেকে বেশ কিছু টাকা এডুকেশন লোন নেয় সে।

আরও পড়ুনঃ করোনা আবহে ডিজিটালেই পালিত হবে শিক্ষক দিবস

তৎকালীন ব‍্যাঙ্ক ম‍্যানেজার বলেছিলেন, পড়া শেষ করে চাকরির বেতন থেকে লোনের কিস্তি নেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে সঞ্জু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও একটি চাকরি জোটাতে পারেনি। এদিকে ঋণের বোঝা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় ব‍্যাঙ্ক লোনের কিস্তি দিতে বলে। কোর্টের দারস্থ হবার ভয় দেখালে,বহু কষ্টে প্রথম কিস্তি দেওয়ার পর সঞ্জুর বাবা নবকুমার বাবুর স্ট্রোক হয়। বর্তমানে তিনি ফুটপাতের সবজী বিক্রি করেন।

আরও পড়ুনঃ ৪ লক্ষ টাকা বিলের বদলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মেটানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

এক দিকে বাবার চিকিৎসা অপর দিকে ব‍্যাঙ্কের কিস্তি, নিরুপায় হয়ে নিজের বাড়ির সামনে মেমারী কাটোয়া রোডের ধারে একটি চায়ের দোকান খুলে বসে সঞ্জু। চায়ের দোকান থেকে সারা মাসে যা সাশ্রয় হয় তার থেকে ব্যাঙ্কের ২৩০০টাকা কিস্তি দেবার পর, বাবার ওষুধ কিনতে ফুরিয়ে যায় বাকি টাকা।

এলাকার মানুষের কথায়, সরকার যদি সঞ্জুর মত মেধাবীর মেধা বিচার করে একটু সদয় হয়, তবে আগামী দিনে এই সঞ্জুরাই যে দেশের সম্পদ হবে না, তা কে বলতে পারে!!!!

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here