সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
এই প্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছেন তাই বিশেষ ভাবে উত্তেজিত দুই বর্ধমানের নতুন ভোটাররা।নতুন এই যুব ভোটারদের প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কি এমন আছে ভোটের কালিতে যা দীর্ঘদিন থেকে যায় এবং চেষ্টা করলেও সে কালি মোছা যায় না?অনেকেই দেখা গেল এই উত্তর জানেন না।অনেক পুরনো ভোটারদের এই প্রশ্ন করেও উত্তর পাওয়া গেল না।
ইতিহাসের ছাত্র ঝন্টু পাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।তিনি মজা করে একটি বহুজাতিক পানীয় সংস্থার সাথে নির্বাচন কমিশন এই কালি তৈরির ফর্মুলা প্রকাশ্যে আনতে না চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।এই কালির একটা প্রধান উপাদন হল রুপোর এক রাসায়নিক পদার্থ সিলভার নাইট্রেট বা AgNO3। কালি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে আঙুলের চামড়ার প্রোটিনের সঙ্গে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটায় সিলভার নাইট্রেট। রোদের আলো পড়লে তা আরও চেপে বসে। কিন্তু কোন সংস্থা এই কালি তৈরি করে? ন্যাশনাল ফিজিকাল ল্যাবরেটরি ছয়ের দশকে কালি তৈরির ফর্মুলা তুলে দিয়েছিল মহীশূরের কালি নির্মাণকারী সংস্থার মাইসোর পেন্টস অ্যান্ড ভার্নিশ লিমিটেড এর হাতে।সংক্ষেপে এই সংস্থার নাম হল ‘এমপিভিএল’।
আরও পড়ুনঃ দল বদলে টিকিট পাওয়া দুই প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মূল তাৎপর্য
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এই কালি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।এই কালি কলঙ্কের নয়,আদতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের নিশানা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584