বকেয়া বেতন না দিলে নোটস দেওয়া যাবে না, জানিয়ে দিলেন শিক্ষক

0
62

মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনের জেরে টানা তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ। এদিকে, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জমায়েত করা যাবে না কোথাও। তাই বন্ধ টিউশনও। দীর্ঘদিন পড়াশোনা না করে ঘরে বসে থাকলে সিলেবাস শেষ হবে না। অনেকটা পিছিয়ে পড়বে ছাত্রছাত্রীরাও। এই কথা ভেবেই গৃহশিক্ষকদের একাংশ হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ খুলে অনলাইনেই পড়াচ্ছেন। তবে এবার এই অনলাইনে ক্লাসের জন্য দু’মাসের বকেয়া বেতন চেয়ে একপ্রকার হুঁশিয়ারিই দিলেন কাটোয়ার এক শিক্ষক।

Tuition | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘোষণা করে দিলেন, বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত আর কোনও নোট দেওয়া হবে না। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের কাশীরামদাস ইনস্টিটিউশনের বাংলার শিক্ষক বিশ্বজিৎ নস্কর। সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে মোটা টাকা বেতন পান। আবার গৃহশিক্ষকতা থেকেও বাড়তি আয় হয়। তা স্বত্ত্বেও শিক্ষকের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এমন হুঁশিয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকাতেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সাহায্য দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের সদস্যদের

সূত্রের খবর, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার কয়েকদিন পর থেকে ওই শিক্ষক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু করেন। ওই হোয়াটস আ্যপ গ্রুপেই তিনি দু’দিন আগে একটি ‘বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে লেখেন, “গ্রুপের প্রত্যেককে বলছি, এপ্রিল-মে মাসের ফি জুনের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছে দিতে হবে। তারপরেই নতুন নোটস পাঠানো ও অ্যাপের মাধ্যমে পড়ানো শুরু করব।” ফি দিতে যাওয়ার দিনক্ষণ সেই গ্রুপেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু। সেইসঙ্গে যেসব ছাত্রছাত্রীর ওই দু’মাসের বকেয়া রয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁদের নামও উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই গ্রুপে।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুলিশে ধারাবাহিক তৃতীয় বিক্ষোভের পর রাজ্যকে বিঁধলেন রাজ্যপাল

হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিশ্বজিৎবাবুর এহেন বক্তব্যে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অভিভাবকরাও এ কথা জানতে পারেন। ফলে সমালোচনার মুখে পরেন ওই শিক্ষক। নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিশ্বজিৎবাবুর লেখা মেসেজটি। জানাজানি হতেই বিশ্বজিৎ বাবু বলেন অভিভাবকরাই তাঁকে বেতন নিতে অনুরোধ করেছিল। সেই কারণেই তিনি বেতন পাঠানোর পদ্ধতি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে লিখে পাঠিয়েছিলেন। তারপর ওই গ্রুপের মেসেজটি ভাইরাল করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here