অর্ধেন্দু বিশ্বাস,মুর্শিদাবাদঃ
জাতীয় মুক্তবিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত বি.এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের ব্রীজকোর্স কার্যত শাঁখের করাতে পরিনত হয়েছে।সারা দেশে প্রায় হাজার বিএড প্রাপ্ত শিক্ষকরা ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করছে।
এই কোর্সের উদ্দেশ্য তাদেরকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষণ দক্ষতার উন্নতিকরণ।এতে কোন সমস্যা নেই ,সমস্যা হচ্ছে বিশেষত এই প্রশিক্ষণের মাধ্যম নিয়ে যা ইংরেজি অথবা হিন্দি এবং তাদের যে শিক্ষণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে,তাও ইংরিজিতে।কিন্তু শিক্ষকদের প্রশ্ন তারা বেশির ভাগই বাংলা মাধ্যমে বিএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তারা বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করেন,তবে তারা ইংরেজি বা হিন্দি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেবেন কেন?অথবা ইংরেজি বা হিন্দি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিলে তাদের কতটা দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে?আবার অনেক কলেজের অধ্যাপকরা বাংলায় সাবলীল, ইংরেজি বা হিন্দিতে তারা অভ্যস্ত নয়।ফলে তাদের কাছেও এটি একটি বড়ো সমস্যা । অথবা ওই অধ্যাপকদের অনেকেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাই প্রশ্ন ওঠে একজন বিএড ডিগ্রিপ্রাপ্ত অধ্যাপক আর এক জন বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষককে কীভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ দিতে পারে? আবার যারা দুবছরের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যম বাংলা।তবে অনেকেই আশা করছেন যে এই ব্রীজ কোর্সের মাধ্যম বাংলা হবে,তবে এ বিষয়ে কোন সরকারি নির্দেশিকা এখনও পর্যন্ত নেই।যে সমস্ত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন,তাদের একজন মেন্টরও সুপারভাইজার থাকার কথা তবে তারা কারা এ বিষয়ে প্রশাসনিক কোন নির্দেশিকা নেই।ইতি মধ্যে থিওরি ক্লাস প্রায় শেষ।শিক্ষকরা এত দিনে ক্লাস করার নির্দেশপূর্ন মেসেজ পাচ্ছে যাতে বলা হয়েছে পিসিপিতে ৭৫% উপস্থিতি না থাকলে তারা নাকি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না।সামনেই ওয়ার্কশপ ও পরীক্ষা কিন্তু শিক্ষকদের কাছে এটি একটি বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে একজন এক জন প্রশিক্ষণরত শিক্ষক সন্দীপ রায় বলেন,”এন আই ও এস এবং প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের মধ্যে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা হল সমস্যার মূল কারন।” তাদের মতে জাতীয় মুক্তবিদ্যালয়ের আরো অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুনঃ সেমিস্টার পরীক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে অক্ষম বিশ্ববিদ্যালয়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584