শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কাজের সূত্রে অনেককেই বাসে চেপে কাজে যেতেই হচ্ছে। ট্রেন বা বিমান চালু না থাকায় বাসেই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু বাসে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের বিপদ। সেই কারণে কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া সমস্ত দূরপাল্লার বাসে এবার চালু হল থার্মাল স্ক্রিনিং। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ গামী যে সমস্ত বাস চলাচল করছে সেগুলিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই থার্মাল চেকিং।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরের এক ব্যক্তি অভিযোগ তোলেন, তিনি কোভিড পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে করে কলকাতা থেকে দুর্গাপুর ফিরেছেন। তার আর কোনও উপায় ছিল না বলে তিনি ভ্রমণের সময়ে বিষয়টি বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন। বাসে ওঠার আগে কোনও পরীক্ষা করা হয়নি।
এই ঘটনা কানে আসা মাত্রই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বাসে মাস্ক পরা ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এবার থেকে চালু হল দূরপাল্লার বাসে থার্মাল চেকিং। যদিও পরিবহণ নিগমের বক্তব্য, প্রায় ৩৫০০ বাস চলে প্রতি বাস পিছু থার্মাল স্ক্যানার বা গান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে যতটা সম্ভব তারা চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই বেলেঘাটা আইডি-তে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম কোভিড গবেষণাকেন্দ্র
ইতিমধ্যেই এসপ্ল্যানেড ডিপোতে কর্মরত বাস কর্মচারীদের তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বাস ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে যাত্রীদের বাসে তোলা হচ্ছে। তার আগে বাস পুরোপুরি ভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। কন্ডাক্টর বা ডিপো কর্মী যে বা যারা আছেন তারাই স্ক্যান করছেন।
এসপ্ল্যানেড ডিপো ম্যানেজার অনিল অধিকারীর কথায়, ” আমাদের স্টাফেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা যাত্রীদের কাছেও আবেদন করছি তারা যেন কোনও ধরণের উপসর্গ না নিয়ে বাসে ওঠেন।” তিনি জানান, রাজ্যের বিভিন্ন বড় বাস টার্মিনাল জুড়ে এটা চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584