নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ

“যেতে নাহি দেব’’ এই কাতর আবেদন এখন নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন কোচবিহার মনীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বীরেশ চন্দ্র রায়।১৯৯৬ সালে তিনি এই বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন শিক্ষক পদে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে তিনি এই বিদ্যালয়েরই সহকারী প্রধান শিক্ষক হন।

সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক পদে পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে তুফানগঞ্জের চামটা দেশবন্ধু হাই স্কুলে সুযোগ পান।কিন্তু বৃহস্পতিবার মনীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকেরা তাকে স্কুলে থাকার আবেদন জানান।এই আবেদন শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের আকার নেয়।

স্কুল ছাত্রী মধুমিতা রায় এবং ঋতিকা কর বলে, ‘আমরা কোনও ভাবেই বীরেশ বাবুকে অন্য কথাও যেতে দেব না।তাকে আমরা এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দেখতে চাই। স্যার সত্যিই খুব ভালো মানুষ তিনি শিক্ষক হয়েও আমাদের সাথে বন্ধুর মতো মেলামেশা করে।
আরও পড়ুনঃ দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালো পান্থপাদপ সোসাইটি

এরকম একজন শিক্ষক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।’ছাত্র ছাত্রীদের এই আবেদনে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্র ছাত্রীদের এই আবেদন অগ্রাহ্য করতে পারছি না। আমাকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।এদিকে আজ এই ঘটনার জেরে স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584