নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
আর মাত্র একদিন তারপরেই শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মার পূজা।মৃৎশিল্পীদের শেষ মুহূর্তে তুলির টান জীবন্ত হয়ে উঠছেন শিল্প দেবতা। ব্যস্ততা চরমে ।কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি- সবকিছুকে উপেক্ষা করে সঠিক সময়ে প্যান্ডেল গুলিতে প্রতিমা পৌঁছে দিতে তৎপর শিল্পীরাও।তেমনি এক কুমোরটুলিতে ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠল আমাদের ক্যামেরায়।
দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের জেনকাপুরের গোপাল চন্দ্র বেরা এবারের মোট ৫০ টি মূর্তি বানিয়েছেন।যার সবগুলোই বিক্রি হয়ে গেছে।তবে সঠিক সময়ে প্রতিমা গুলিকে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে,তিনি একা নন পরিবারের অন্যান্য ছোট থেকে বড় সব সদস্য লেগে পড়েছে কাজে।যেমন গোপাল বাবুর বড় মেয়ে পূর্ণিমা বেরা জেনকাপুর হাইস্কুলের এবারের মাধ্যমিকের ছাত্রী।
আর ছোট মেয়ে তাপসী বেরা অষ্টম শ্রেণীতে ,এছাড়াও পরিবারের আরেক সদস্য অজিত দত্ত একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত।এরা প্রত্যেকেই গোপাল বাবুর সঙ্গে কাজে লেগে পড়েছে।সময় সংক্ষিপ্ত প্রতিমার সংখ্যা ৫০।গোপাল বাবুর একার পক্ষে এত কম সময়ে সবগুলো তৈরি করা সম্ভব নয়।তাই কেউ বা রঙ করে,কেউবা তুলির টানে প্রতিমার চক্ষুদানে ব্যস্ত।
আরও পড়ুনঃ শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে, রয়েছে সরকারি সাহায্যের প্রত্যাশা শোলা শিল্পীদের
গোপাল বাবু জানান -“আমরা সারা বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা তৈরি করে থাকি।এখানে থিমের ও প্রতিমা তৈরি হয়।এবারে মোট ৫০ টি বিশ্বকর্মার প্রতিমা তৈরি করেছি।যার সবগুলোই বিক্রয়ের কথা হয়ে গিয়েছে।আমাদের এই প্রতিমা গুলি খড়গপুর, মেদিনীপুর সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যাতে যায়।সারা বছর ধরে আমাদের এই কাজের মধ্য দিয়ে মূল উপার্জন হয়।
তবে এবারে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি এর ফলে সঠিক সময়ে ক্রেতাদের হাতে প্রতিমা তুলে দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে ।আমার সঙ্গে আমার পরিবারের ছেলেমেয়েরা ,আর আমার আত্মীয়ের বাড়ির একজন সহযোগিতা করছে।আশা করি সঠিক সময়ে প্রতিমা গুলি তৈরি সম্পূর্ণ করতে পারব ।
” তবে গোপাল বাবুর শিল্পকর্ম সত্যিই অপূর্ব সুন্দর ।পরিবারের খুদে খুদে সদস্যরাও সেই সৌন্দর্য কে অপূর্ব সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলতে তৎপর।স্কুলের পাঠের সঙ্গে সঙ্গে তাদের এই শিল্পচর্চা শুধু বাংলাতে নয় মন কেড়েছে পাশের রাজ্যের ওড়িশা বাসিরও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584