পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
ফের একবার নতুন করে উত্তপ্ত বীরভূমের পারুই থানার অন্তর্গত অবিনাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমাদপুর গ্রাম।এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে মাঝরাতে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠলো।
গতকাল মধ্যরাতে, আনুমানিক রাত দুটো নাগাদ অবিনাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমাদপুর গ্রামের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।তৃণমূলের ঐ অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখার্জী জানান, তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দুষ্কৃতীরা তার বাড়ি লক্ষ করে বোমা ছুঁড়েছিল।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখার্জির বক্তব্য অনুযায়ী, মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসে গতকাল রাতে তার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে।একটি বোমা লাগে গ্যারেজের মূল দরজায় এবং অন্য আরেকটি তিনি যে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন ঠিক তার জানলার পাশেই।
আরও পড়ুনঃ ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজির অভিযোগ
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখার্জির অভিযোগ, “যে সকল দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে তারা ভালোভাবেই জানত যে ওই ঘরেই আমি আমার পরিবারকে নিয়ে রাতে ঘুমাই।এ কারণেই প্রাণে মেরে ফেলার জন্য জানালা লক্ষ্য করে মারা হয়েছিল।
যদিও বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে জানালার ঠিক পাশে লাগে। আমার বাড়ি লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছোড়া হয় এবং গ্রাম থেকে বেরোনোর সময় আরো ৮-১০ টি বোমা ছোড়া হয়।”
কারা চালিয়েছে হামলা এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যারা হামলা চালিয়েছে তারা অবশ্যই দুষ্কৃতী।তবে আমার মনে হয় তারা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী।” ঘটনার পর ৫ জনের নামে পাঁরুই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পারুই থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেবদাস মুখার্জি এবং পতিতপাবন ডোম নামে দু’জনকে আটক করেছে।
যদিও আটক হওয়া দুজনের কোন রকম রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলে স্বীকার করেছেন ওই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখার্জি।হামলার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের উপড় উঠলেও এ বিষয়ে বীরভূম জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কালো সোনা মন্ডল জানান, “এই সকল হামলার সাথে বিজেপির কোন যোগাযোগই নেই।যে ঘটনাগুলি ঘটছে সেগুলি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রতিফলন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584