ওয়েব ডেস্ক,নিউজফ্রন্টঃ
ঢাকার বহুতল ফ্ল্যাটে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে মৃত কমপক্ষে ২৫ জন মানুষ।আহত আরো বহু সংখ্যক মানুষ।সূত্রের খবর ২২ তলা বহুতলটি ০.৬ মিটার এবং ১.২ মিটার প্রশস্ত এবং অস্বাস্থ্যকর ঘিঞ্জি পরিবেশ। ঢাকা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে,ফ্ল্যাটটি ১৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণ অনুমতি প্রাপ্ত। তাহলে কী ভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ২২ তলা পর্যন্ত নির্মিত হলো সেটায় প্রশ্ন।
বিশেষত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ত্রুটিজনিত কারণে দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা যায়নি বলে খবর।ফ্লাট এত ঘিঞ্জি যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসা দমকল কর্মীরা ফ্ল্যাটে ঢুকতে বাধা পায়।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক জুলফিকার রহমান রয়টার্সকে জানান”এই বহুতলে কোনও উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না।এদিকে বহুতলে অনেক অফিস এবং বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম শহরের জনবহুল এলাকায় বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড
এই ভবনে যদি পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট থাকতো তাহলে আটকা পড়া মানুষ বেরিয়ে আসতে পারতো।বহুতলটিতে সামান্যতম অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল এবং সেগুলোও কাজ করার অবস্থায় ছিল না।”সূত্রের খবর নিহতদের মধ্যে একজন শ্রীলংকার বাসিন্দা রয়েছেন।ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে বাঁচতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত সাতজনের । পুলিশ,সশস্ত্র বাহিনী,দমকল কর্মী ও হেলিকপ্টার সহযোগী উদ্ধারকার্য চালানো হয়।বেশ কয়েকজনকে কোনরকমে ফ্লাট থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে তোলা হয়।
বাংলাদেশের পাবলিক ওয়ার্কস ও আবাসন মন্ত্রী রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের বলেন,”এটি একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড।বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে,তা তাঁরা যতই ক্ষমতাশালী হ’ন না কেন ।” জানা গেছে আহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584