মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
তৃনমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল দিনহাটার সিতায়ে। অভিযোগের তীর বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় সিতাইয়ে। তৃনমূলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দিনহাটা মহকুমার সিতাই ব্লকের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দলীয় অফিসে হামলার পাশাপাশি তৃণমূলের বেশকিছু নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতের পর থেকেই সিতাইয়ে অশান্তি শুরু হয়। শুক্রবার সকালে ব্লকের অন্তত তিন চারটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি, আমাদের ১০-১২ জন নেতা ও কর্মীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’
আরও পড়ুনঃ ফল প্রকাশের পর কালনায় ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকরা
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।কোচবিহারের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি ব্রজ গোবিন্দ বর্মন বলেন, “সিতায়ের তৃনমূল কংগ্রেস নেতা জগদীশ বসুনিয়া তো এর আগে সব সময় বলতেন সেখানে বিজেপির কোন লোক নেই। কয়েক দিন আগে সেখানকার কালিরহাটে ঘটনা নিয়েও তিনি একই মন্তব্য করেন। তৃনমূলের ওই নেতাই যখন বলেন সেখানে বিজেপির কোন লোক নেই, তাহলে ওই ঘটনার সাথে বিজেপিকে জড়িয়ে কেন মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক জয়ী হওয়ার একদিনের মধ্যে এত লোক হয়ে গেল সেখানে?” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি কোন ধ্বংসাত্মক কাজ সমর্থন করে না।তবে বিজেপির ঝাণ্ডা নিয়ে কেউ যদি এমন কাজ করে, তবে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।এটা যদি তৃনমূলের অত্যাচারের ফলে কোন জনরোষ হয়ে থাকে সেটাও পুলিশ প্রশাসন দেখুক।”
শুধু সিতাইয়েই নয়, কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর থেকেই এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, সিতাই,শীতলখুচি, দিনহাটার বুড়িরহাট, নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বলরামপুর ও তুফানগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি তাদের দলীয় কার্যালয়, কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করছে। ফলে তাদের বহু কর্মী সমর্থক এলাকা ছাড়া হয়ে রয়েছে।
কোচবিহারের তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ঘোষ বলেন, “সিপিএম ও বামফ্রন্টের লোকগুলি বিজেপিতে ঢুকে গিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস করছে।ভোটে জেতার একদিনের মধ্যেই তাদের সেই সন্ত্রাসের রুপ দেখে নিল মানুষ।আমরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।” অন্যদিকে বিজেপি জেলার ওই সন্ত্রাসের ঘটনার জন্য তৃনমূলকেই দায়ি করছে। তাদের দাবি, পরাজিত হওয়ার পরেও বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করছে তৃনমূল।ইতিমধ্যে তুফানগঞ্জের কয়েকজন বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584