নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না- এমনটাই দাবি করল খোদ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার পানিপারুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে।এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দিন কয়েক আগে এগরা-২ ব্লকের অন্তর্গত পানিপারুলে সরকারি হাসপাতালে কুলটিকরী গ্রামের এক অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।পরে হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার মৃতের পরিজনেররা ডেথ সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ওই হাসপাতালে যায়।তবে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর তা দেখে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য সেই হাসপাতালেরই চিকিৎসক স্বদেশ রঞ্জন জানা বলছেন, এক হাজার টাকা চার্জ না দিলে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না।
আবার তিনি এও বলছেন, এলআইসি ইনসুরেন্স করা থাকলে তার ১০% দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হবে।তা না হলে কোন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না।তবে মৃতের পরিজনেদের দাবি, তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।আবার এ দিন দুপুর ২ টা নাগাদ প্রদীপ কুমার মাইতি নামে এক রোগী জ্বরের জন্য পানিপারুল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান।
আরও পড়ুনঃ ঘরে তালাবন্দি করে জামাইকে মারধোরের অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে
কিন্তু ওই হাসপাতালেরই সাধারণ চিকিৎসক স্বদেশ রঞ্জন জানা তখন তাঁর কোয়ার্টারে ছিলেন।তারপর তিনি তাঁর কোয়ার্টার থেকে সিগারেটের টান দিতে দিতে বাইরে বেরিয়েই প্রদীপবাবুকে না দেখেই তিনটি ওষুধ লিখে দেন।তিনি জানালেন,আপনার টাইম জ্ঞান নেই।
এরপর থেকে কখনোই এভাবে আসবেন না।যদিও চিকিৎসক স্বদেশ রঞ্জন জানার দাবি, “যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।কেউ কেউ আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
এ বিষয়ে এগরা-২ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধান বলেন, “বিষয়টি আমার কানে এসেছে।তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584