তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জঃ
বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার নাটকের শহর কালিয়াগঞ্জ নজমু নাট্য নিকেতনে অনন্য থিয়েটারের ব্যবস্থাপনায় একটি নাট্য বিষয়ক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল-ভাত কাপড়ের ভাবনা ও আমাদের থিয়েটার।
আলোচনা চক্রের মূল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাট্য নির্দেশক শুভাশীষ গাঙ্গুলি ও সব্যসাচী দাশগুপ্ত।আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রথমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সব্যসাচী দাশগুপ্ত বলেন নাটকের প্রসারের স্বার্থে এই ধরনের সেমিনারের গুরুত্ব অপরিসীম।নাটক ভালোবাসার বস্তু।নাটককে ভালোবাসলে নাটক যে নাট্য কর্মীদের ভাত কাপড়ের ভাবনা মিটিয়ে দিতে পারবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।এখনও পর্যন্ত আমরা বেশিরভাগ নাট্য দল শখের বশবর্তী হয়ে করে থাকি।
আরও পড়ুনঃ ‘কৃষ্টি’-র উদ্যোগে সাতদিনের নাট্য উৎসবের সূচনা
অনেকেই সরকারি বা বেসরকারী কোন চাকরির পাশাপাশি সৌখিন নাট্য দলে যুক্ত হয়ে নাটক মঞ্চস্থ করে থাকি।কিন্তু যারা নাটক করে সমাজের মানুষদের সচেতন করতে সাহায্য করে তাদের সংসার আছে তাদেরও বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে হয়।যারা সমাজের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে তাদের বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় নাটকের মাধ্যমে।নাটক করতে গিয়ে তাই ভাত কাপড়ের ভাবনায় ভাবিত করে তোলায় অনেক সময় নাটকের বিঘ্ন ঘটে।
তাই আমাদের ভাবতে হবে নাটক চলছে চলবে যেমন তেমনি ভাত কাপড়ের ভাবনা থেকে কিভাবে আমাদের মুক্ত হওয়া যায়।নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা নাট্য নির্দেশক শুভাশীষ গঙ্গো পাধ্যায় বলেন নাটক করতে গিয়ে ভাত কাপড়ের ভাবনা থেকে আমাদের উর্ধে উঠতেই হবে।নাটক করতে গিয়ে আমাদের পেশাদার নাট্য কর্মী হতে হবে।আমাদের ধরে নিতেই হবে আমাদের সমাজের প্রতি দায় দায়িত্ব সরকারী কর্মচারীদের থেকে অনেক গুন বেশি।
মনে রাখতে হবে আমাদের নাটকের কাজে দায়িত্ব বেশি হলেও আর্থিক রোজগারের সুযোগ অনেক কম।সরকার নাট্য শিল্পকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করবার প্রচেষ্টা নিলেও তা কবে বাস্তবে রূপ নেবে তা কেউ বলতে পারেনা।আলোচনার প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন করেন সরকার যদি নাট্য শিল্পকে গুরুত্ব দেয় তবেই নাটকের মধ্য থেকে ভাত কাপড়ের ভাবনা দূর হতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584