ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্ট:-
কিম জং উন এবং মুন জায়ে-ইনের বৈঠকের পরে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে কোরীয় উপদ্বীপে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন, ভারত-পাকিস্তান কেন এভাবে এগোতে পারবে না পরস্পরের দিকে? কেন হাত মেলাতে পারবেন না মোদি-আব্বাসি?
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে পানমুনজমে কয়েক দিন আগে যে ছবি তৈরি হয়েছে, নির্ধারিত কর্মসূচিতে তার কোনও সংস্থানই ছিল না। দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন সীমান্তের নিচু কংক্রিট বাউন্ডারির ধারে পৌঁছাতেই, হাত বাড়িয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন।
পানমুনজমে কিম এবং মুনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ঠিকই। কিন্তু কিমের হাত ধরে উত্তর কোরিয়ার ভিতর দিকে ঢুকে যাবেন মুন, অভূতপূর্ব সম্প্রীতির ছবি তৈরি হবে, এমনটা বেশ অপ্রত্যাশিতই ছিল।
দুই শাসকের বৈঠকেই কিন্তু শেষ হয়নি দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া। বৈঠকের পর থেকে দুই কোরিয়া পরস্পরের প্রতি একের পর এক সৌজন্যমূলক বার্তা দিতে শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়া নিজেদের ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার টাইম জোনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সময়কে।
আর সীমান্তে লাউড স্পিকার লাগিয়ে উত্তরের কমিউনিস্ট রাজত্বের বিরুদ্ধে অবিরত যে প্রচার চালাত দক্ষিণ, সেই প্রচার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লাউডস্পিকার।
কোরীয় উপদ্বীপের এই ছবি তুলে ধরে পাকিস্তানের ডন নিউজ লিখেছে, ভারত এবং পাকিস্তানেরও উচিত এই পথই ধরা।
‘দীর্ঘ দিনের সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য মিল ভারত ও পাকিস্তানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে যে অভিন্ন ইতিহাস এবং অভিন্ন স্বপ্ন ও আকাঙ্খা দিয়েছে, তাতে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা এবং শান্তি ফেরানো এই অঞ্চলের সবচেয়ে মহান লক্ষ্য।’
যে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে ভারত-পাকিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে বলা হয়েছে তাতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর লাহোর সফরের স্মৃতিচারণও করা হয়েছে।
দুই কোরিয়াকে দেখে ভারত এবং পাকিস্তানের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মত ‘ডন’–এর। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘আরও এক বার শান্তি ও মৈত্রীর পথে হাঁটুক ভারত এবং পাকিস্তানের নেতৃত্ব, সেই সময় এসে গিয়েছে।’’
ছবি:সংগৃহীত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584