নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ
জঙ্গল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। সোমবার দুপুরে বৈষ্ণবনগর থানার ১৭ মাইল এলাকায় একটি জঙ্গলের মধ্যে দেহটি কবর দেয় দুষ্কৃতীরা।পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।ঘটনায় পরিবারের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবককের নাম অনন্ত মন্ডল(২২)।
বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার সাহাবানচক পঞ্চায়েতের চন্দনারায়নপুর এলাকায়।সে পেশায় একজন লড়ি চালক।গত ছয় মাস আগে বিয়েও হয়েছে ঐ যুবকের।পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে,গত ৬ এপ্রিল বাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তার।লরির মালিক সামিউল শেখের বাড়ি থেকে বাইক উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা।কিন্তু তার কোন খোঁজ না পেয়ে ১৭ এপ্রিল বৈষ্ণবনগর থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে।তারপরেও কোন হদিশ মেলেনা।
আরও পড়ুনঃ শালবনীতে ঝুলন্ত কঙ্কাল উদ্ধার
পরিবারের লোকেরা সন্ধেহ করে তাদের ছেলে হয়তো খুন হয়েছে।এরপর তাঁরা গত ১৫ মে লরির মালিক সামিউল শেখ সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বৈষ্ণবনগর থানায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সামিউল শেখকে গ্রেফতার করে।কিন্তু খুনের ঘটনার কোন হদিশ পায়নি।এমনকি দেহ উদ্ধার করতেও অসমর্থ ছিল।সোমবার দুপুরে ১৭ মাইল এলাকায় পাথর ভাঙা মেশিনের পাশে একটি জঙ্গলের মধ্যে মানুষের হাড় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
দেহটি কবর দেওয়া ছিল কিন্তু শেয়ালে মাটি খুঁড়ে তুলে দিয়েছে।ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।খবর পেয়ে অনন্ত মন্ডলের পরিবারের লোকেরা ছুটে আসে।মৃতদেহের জামা প্যান্ট দেখে দেহ চিহ্নিত করে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে,সামিউল শেখের বন্ধু ছিল অনন্ত।বন্ধুর লরি চালিয়ে এক সঙ্গে মোটা টাকা নেওয়ার জন্য নিয়মিত বেতন নিতনা অনন্ত। বর্তমানে প্রায় দুই লক্ষ টাকা পেত সে।আর তারি জেরে তাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।তবে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584