একই পরিবারের ছয়টি গরুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

0
143

কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ

the death of six guards of the same family
মৃত গরু।নিজস্ব চিত্র

বুধবার সন্ধ্যায় আচমকায় একই পরিবারের ছয়টি গরু মারা যায়।প্রত্যেকটি গরু কাঁপতে কাঁপতে মুখে নাকে রক্ত বেরিয়ে মারা যায়।১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডোবা গ্রামের এহেন ঘটনার খোঁজ পাননি ‘পাণীমিত্র’ বা ‘প্রাণীসেবী থেকে শুরু করে ব্লকের প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিকরা। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডােবা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী বিমল পাল।ছয় জনের পরিবারের মধ্যে একমাত্র তার ছেলেই ভোলানাথ উপার্জন করেন। পেশায় ও মিস্ত্রি ভােলানাথকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে গরু বাছুর পুষে ছিলেন বিমল।বিমলের স্ত্রী মাধুরী।ঘর-সংসার সামলে গরু গুলির দেখাশুনা করত। বাড়িতে মােট গরু ছিল সাতটি।গৃহবধূ মাধুরী পাল বলেন,’প্রত্যেক দিনের মত গরু গুলিকে জমি ও মাঠে চরাতে ছেড়ে দিয়ে আসি।

আরও পড়ুন: ট্রাফিক সচেতনতা জনপ্রিয় করতে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

বুধবার সন্ধ্যায় গােয়ালে গরু গুলি বাঁধার সময় দেখলাম একটি গরু কাঁপছে। তখনই গরুটিকে না বেঁধে দড়িটা খুলে দিই।” কাঁদতে কাঁদতে মাধুরী বললেন,“চোখের সমানে দেখলাম ছয়টি গরু পর পর মারা গেল। কিছুই বুঝতে পারলাম না।তখন মাথায় হাত বিমলের।বিমল বললেন, যে ছয়টি গরু মারা গিয়েছে তারমধ্যে দু’টি বড় গাই, দু’টি বড় বলদ ও দু’টি বাছুর ছিল।বাজারে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল।দু’টি গরু দুধ প্রতিদিন তিন লিটার করে দুধ দিচ্ছিল। প্রতিদিন দশ টাকার দুধ বিক্রি হত।সেই দুধ দিয়ে সংসারের খরচ সামাল দিতাম।আমার তাে ডান হাত নেই।কিছুই করতে পারিনি।খুব অসহায় হয়ে পড়লাম!বৃহস্পতিবার সকাল এগারােটা ততক্ষণে দরিদ্র পাল পরিবার মৃত গরু গুলিকে নহড়খালের ধারে নিয়ে গিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার জন্য গর্ত খুঁড়ছিলেন।এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাণীমিত্র রেবতী মাহাতাে এবং প্রাণীসেবী নেপাল মাহাতাে।তারা বিষয়টি দেখে উর্ধতন কতৃপক্ষকে ফোন করে জানান এবং গরু গুলিকে পুঁততে নিষেধ করেন।তারপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ঝাড়গ্রাম ব্লকের ভ্রাম্যমান প্রাণী চিকিৎসালয়ের পাখী চিকিৎসক গুরুপন দণ্ডপাট এবং উপ-অধিকর্তা প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের সহ অধিকর্তা দেবাশিষ কর্মকার।পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং মৃত গরু গুলিকে দেখে জানান “অ্যানথ্রাক্স’ হয়েছে।প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সহ অধিকর্তা দেশি বলেন,”গরুর মালিকের সঙ্গে কথা বলে এবং মৃত গরু গুলিকে দেখে আমরা বুঝতে পারছি সম্ভবত অ্যানথ্রাক্স জন্যই গরু গুলি মারা গিয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here