সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
চাষের জল নিকাশি নিয়ে সমস্যা।বর্তমানে নিকাশি সমস্যায় ষাটজন চাষি সহ দুটি গ্রামের মানুষ।বৃষ্টির জমাজল না সরাই ধান ও পানচাষে ক্ষতির মুখে প্রান্তিক চাষিরা।জমা জলে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার আতঙ্কে প্রত্যন্ত এলাকাবাসি।
দক্ষিন সুন্দরবনের মথুরাপুর ২ নং ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রামপঞ্চায়েত।যে পঞ্চায়েতে রয়েছে নন্দকুমারপুর ও ঢলঘেরি দুই গ্রাম।দুইগ্রামে রয়েছে নিকাশি সমস্যা।জল নিকাশির জন্য সরকারি ভাবে নির্মিত হয়েছে দুটি ক্যালবাট।দুই ক্যালবাটের দুদিকে রয়েছে দুটি বুথ।
একটি ২৭০ নং বুথ ও অন্যদিকে ২৮২ নং বুথ।খালনিকাশি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ২৭০ নং বুথের ১০০ বিঘা চাষের জমির জল ক্যালবাট দিয়ে ২৪৮ নং জমিতে পরে।সেখান থেকে আম্রিয়া খালে গিয়ে পরে।এভাবে চলার ফলে দোফসলি চাষ চলছিল ২৭০ নং বুথে।কিন্তু চলতি বছরে ২৮২ নং বুথের জমির মালিকরা আল দেওয়াই জলময় হয়ে পরে ২৭০ নং বুথ।
বৃষ্টির জমা জলে যেমন ৬০ থেকে ৭০ জন চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ।অন্যদিকে নিকাশি না থাকায় জমাজল জলমগ্ন হয়ে পরেছে বসবাড়িতে।কোথাও এক হাঁটু কোথাও বা তার থেকে বেশি জলে সমস্যায় দিন গুনছেন চাষিরা।গ্রামপঞ্চায়েতের উদ্যোগে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার কাজ করার প্রত্যাশা দেন স্থানীয় প্রশাসন।কিন্তু নিকাশির কাজ আজও দেখা যায়নি গ্রামে।
মৃদঙ্গভাঙা নদীর কাছে যেটুকু রয়েছে তা সংস্করনের অভাবে আজ মজে গিয়েছে।নিকাশি নিয়ে যখন হিমসিম খেতে হচ্ছে চাষিদের।বাধ্য হয়ে চাষিরা বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হন দিদিকে বলোই।সেখানে নিস্তার পাননি প্রান্তিক চাষিরা।একদিকে স্থানীয় প্রশাসন অন্যদিকে দিদিকে বলো অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ না হওয়াই ক্ষোভে ফুসছেন ষাটজন চাষি সহ তিন হাজারেরো বেশি পরিবার।
চাষিদের দাবি চাষের জমির জল সঙ্গে দুই গ্রাম নন্দকুমারপুর ও ঢলঘেরী গ্রামের বাস্তু জল যাবার অন্যতম পথগ্রামের দক্ষিনে থাকা মৃদঙ্গভাঙা নদী ।অন্যদিকে আরো একটি পথ রয়েছে পূর্বে দক্ষিনে ১লা নং ঘেরী খাল।কিন্তু সেখানেও নিকাশি ব্যবস্থা সুরাহা করে দিচ্ছেনা বলে দাবি গ্রামবাসিদের।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব মনরঞ্জন পাত্র সমস্যার কথা শিকার করেছেন।খতিয়ে দেখে সমাধানের আশ্বাস রেখেছেন তিনি।তৃণমূলের নিকাশি বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি । বিজেপির জেলা সহসভাপতির দাবি নিকাশি নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের।একবুথের জল অন্যবুথ দিয়ে পাশ হচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা ঘুরে দেখলেন সাংসদ
সপ্তদশ লোকসভায় ২৭০নং বুথ বিজেপি জেতে।লোকসভায় তৃণমূল হারায় চলতি বছরে বন্ধ করে দেয়।বিষয়টি নিয়ে সমাধান না হলে আন্দোলনের হুমকি দেন তিনি।
চাষ ও বাস্তু নিকাশি নিয়ে তৃণমূল বিজেপি কাদা ছেটাছেটি করলেও গ্রাম্য সমস্যা বলে দাবি নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েত প্রধানের।খুব শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতির মাঝে পরে নিকাশি সমস্যা কতোদিনের মধ্যে সমাধান ঘটবে।এখন সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584