সমর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, ওয়েবডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চারিদিকে যেভাবে মৃত্যু মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কম্পিত গোটা বিশ্ব। করোনা ভাইরাসের এই দাপট যেন প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ঙ্কর অবস্থাকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। এইক্ষেত্রে পৃথিবীর সমস্ত দেশ গুলি মোকাবিলা করছে শুধুমাত্র একজনের বিরুদ্ধে। সেটা হল নোভেল করোনা ভাইরাস।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকেই ধীরে ধীরে লকডাউনের বাঁধন হাল্কা করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে যে, দেশগুলোর অর্থনীতি যাতে আবার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। যাতে আবার অর্থনীতি পুনরায় সচল হয়।
শুধুমাত্র এই লকডাউনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এবছর তিন শতাংশ সংকুচিত হবে। কিন্তু এর আগে তারা ঠিক পুরো উল্টো ধারণা করে বলেছিল যে এবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে তিন শতাংশ। যা কিনা তিরিশের দশকে যে বিশ্ব মহামন্দা পরিস্থিতি তাকেও হার মানাবে। তারপর এই প্রথম করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে আবার বড় রকমের ধ্বস নেমেছে।
আরও পড়ুনঃ আয়কর রিটার্ন ৩১শে অক্টোবর অবধি,৩ মাস কম ইপিএফ কাটা হবে: অর্থমন্ত্রী
কিন্তু এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, এই পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতি এই মন্দা পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে সবাই ? তবে এর উত্তরে অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চ বলছে যে ,”মন্দা হচ্ছে যখন সর্বক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায় এবং সেটা কয়েক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। সাধারণত এটা প্রকৃত জিডিপি, প্রকৃত আয়, কর্মসংস্থান, শিল্প উৎপাদন এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রির মধ্যে প্রতিফলিত হয়।”
এই কোভিড-১৯ সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়ছে ২০২০ সালের এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাসে। তবে এখনও আশা করা যাচ্ছে যখন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে তখন মন্দা পরিস্থিতি কেটে যেতে শুরু করবে। তবে একটু সময় লাগলেও পরে এই অর্থনীতি মন্দ থেকে রেহাই মিলবে বলে আশাবাদী সকলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584