রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী আজ সকাল সাতটা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শুরু হয়েছে।দু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে।
নির্বাচন চলাকালীন খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে সংবাদিকদের সাথে সেক্টর অফিসারের বচসা বাধে।সাংবাদিকরা জানতে চাই নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও কি কারনে তাদের খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে।যদিও এ বিষয়ে সেক্টর অফিসার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
কান্দী বিধানসভার দু একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়ার বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসে।একই সাথে যশোহরি আনোখা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাধুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৫,১২৬,১২৭ নং বুথের কিছুটা দূরে জটলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাজির হয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিলে দেখা যায় কিছু মদের বোতল এবং সংঘর্ষ করার মত কিছু জিনিস মেলে।এই ক্ষেত্রেও অভিযোগের তীর শাসক তৃনমুলের দিকেই ওঠে।এই ঘটনায় যদিও কেউ গ্রেফতার হয়নি।মাধুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৫,১২৬ ১২৭ নং বুথে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ নির্বিঘ্নে ভোট করতে সিকিম পুলিশের রুটমার্চ উত্তর দিনাজপুরে
অপরদিকে নওদা বিধানসভার কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী সুনীল মন্ডল দুটি বুথে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।যদিও প্রশাসনের কাছ থেকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস পেয়ে তিনি আশ্বস্ত সেটাও জানান।
বিক্ষিপ্ত এই অভিযোগের পাশাপাশি ভোটারদের প্রভাবিত করতে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলের পক্ষ থেকেই ভোটারদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।নওদা বিধানসভার রাইপুর নতুন পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৬ নং বুথে ভোটারদের মিষ্টির প্যাকেট চা বিড়ির ব্যবস্থা করার অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় হালদারের বিরুদ্ধে।
জানা যায় যে,এই উপলক্ষে সাতশো টিফিন প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।যাতে কেক মিষ্টি আছে।প্রভাবিত করার অভিযোগ এলেও অভাবিত এই মিষ্টির প্যাকেটে খুশি ভোটাররা।পাশাপাশি একই বিধানসভার পাটিকাবাড়ির ২৫৭,২৫৮ নং বুথে মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
নওদা বিধানসভার আলমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ নং বুথে বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।বিজেপির ভোটারদের বুথে ঢুকতে বাধা।বিজেপি এজেন্টকে বুথে ঢোকানোর সময় শাসকদলের কর্মীদের মারধরের শিকার বিজেপির বুথ সভাপতি সুশান্ত দাস বলেও অভিযোগ ওঠে।
বিক্ষিপ্ত এই ঘটনাগুলি ছাড়া সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করে এখনও পর্যন্ত হিরো জেলা নির্বাচন কমিশন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584