পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
দুই ছেলের মা তিনি। কিন্তু এখন আর ঠাঁই হয় না সংসারে।সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মেয়ে আর নাতিকে নিয়ে কোনওমতে মাথা গুঁজে রয়েছেন যেখানে,সেখানে অনায়াসেই ঢুকে পরে রোদ-বৃষ্টি। উপায় না দেখে সরকারি প্রকল্পের একটি বাড়ি চেয়ে বারবার ধর্না দিয়েছেন, কিন্তু লাভ হয়নি কোনও। বুধবার বিকেলে প্রার্থীর বাড়ানো হাত ধরতে পেরে সেই কষ্টই তুলে ধরলেন।আর তা শুনে,স্থানীয় নেতৃত্বকে সুরাহা করার কথা বলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ ও প্রার্থী শতাব্দী রায়।
বয়স ৭০ পেরিয়েছে ঝর্ণা মণ্ডলের।মহম্মদবাজার ব্লকের কাপিস্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম গ্রাম সংসদের বাসিন্দা তিনি।ছেলেদের সংসারে ঠাঁই না হওয়ায় গ্রামেই এক চিলতে ঘরে কোনও মতে মাথা গুঁজে থাকেন তিনি।সঙ্গে থাকেন মেয়ে আর নাতি।নাতির যৎসামান্য রোজগারে কোনওমতে পেট চললেও ঘর সারানোর ক্ষমতা নেই। তাই বারবার পঞ্চায়েতে গেছেন।
আরও পড়ুনঃ ভোট মার্জিন বাড়াতে মরিয়া শতাব্দী, অন্যদিকে অনুব্রত দুধকুমারের দৈরথ
কিন্তু ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে।তিনি বলেন, “কতবার পঞ্চায়েত মেম্বারদের হাতে পায়ে ধরেছি, একটা ঘরের জন্য।পার্টির নেতাদেরও বলেছি। কিন্তু কাজ হয়নি কোনও।”ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। রাস্তায় তাঁকে গাড়ি দাঁড় করাতে দেখেই ছুটে যান বৃদ্ধা। শতাব্দীর হাত জড়িয়ে ধরে তুলে ধরেন তাঁর সমস্যার কথা।সঙ্গে সঙ্গেই দলের স্থানীয় নেতাদের ডাকেন শতাব্দী। ভোট মিটে গেলে বৃদ্ধার সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন।
কাপিষ্ঠা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বলেন, “ওই বৃদ্ধা জাতিতে সাধারণ শ্রেণীভূক্ত। তাই সরকারি প্রকল্পে তাঁর বাড়ি পেতে সমস্যা হয়েছে। তবে আমরা তাঁকে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
তবে এই বিষয়টি নিয়ে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584