শ্যামল রায়,কালনাঃ
কালনা মহকুমা ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বুথ গুলিতে।সকালের দিকে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও যতটা বেলা গড়িয়েছে ততটাই যেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা সন্ত্রাস মুখী হয়ে ওঠে বলে জানা গিয়েছে।তবে তৃণমূলের তরফ থেকেও পাল্টা অভিযোগ যে বেশ কিছু এলাকাতে তাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে বিজেপি ও সিপিএমের লোকজনেরা।তাই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ জারি রয়েছে।
জানা গিয়েছে যে কালনা শহরে বিজেপি প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দাস এর উপর হামলা হয়েছে এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।পরেশ চন্দ্র দাসের আরো অভিযোগ যে তার নিরাপত্তারক্ষী কেউ এবং গাড়ি চালককে মারধর করা হয়েছে এমনকি নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।অথচ শাসকদলের পুলিশ বাহিনী নিরব ছিল বলে অভিযোগ।পীলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মী অসীম মন্ডল কে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে দিনের শেষে নিজের ভোট দিলেন অধীর চৌধুরী
মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটি বুথে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি এবং তাদেরকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।কালনা মহকুমার মন্তেশ্বর কালনা শহর ও পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কয়েকটি জায়গায় বিরোধীদের সরিয়ে দিয়ে একতরফাভাবে ভোট করে নিয়েছে তৃণমূল এমনটাই অভিযোগ।রাজ্য সরকারের পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে থাকলেও শান্তিপূর্ণ ভোট হলো না।
বহু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যারা বাইরে থাকেন এবং মৃত ব্যক্তিদের একতরফা ভাবে ভোট করে নিয়েছে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা।কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও সে ভাবে প্রতিরোধ হয়নি।অনেক জায়গায় ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
অন্যদিকে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খর দত্তপাড়ায় ১২ নম্বর ও ১৩নম্বর বুথে বিরোধী এজেন্টদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এছাড়াও পাটুলি ২৬ নম্বর বুথে ও ইভিএম মেশিন দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা খারাপ থাকার ফলে ভোট গ্রহণ করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায় বলে জানা। সকালের দিকে যখন ভোট শুরু হয় তখন বহু ইভিএম মেশিন খারাপ থাকার কারণে ভোট গ্রহণ করতে দেরি হয়ে যায় বলে খবর।
তবে এবার লক্ষ্য করা গেছে যে ভোটারদের ভোট দিতে দীর্ঘ লাইন কিন্তু চোখে পড়েনি।খুব চটজলদি ভোট হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সমর্থনে কর্মী সমর্থক রা ক্যাম্প করে ভোটারদের সহযোগীতা করবার জন্য স্লিপ বিতরনের জায়গাতেও ফাঁকা ছিল বলে খবর।তবে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থাকায় তারা কোন রকম ঝামেলা না হয় ভোটারদের লাইনে দাঁড় করিয়ে তাড়াতাড়ি ভোট করাই কোন রকম সমস্যা তৈরি হয়নি বলে জানা গিয়েছে কিন্তু ভোটের বিষয় অনেকটাই কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত দেখা গিয়েছে যে কালনা মহকুমার কালনা ২ নম্বর ব্লকে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে কালনা ১ নম্বর ব্লকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে বলে খবর। কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিন খারাপ থাকার কারণে ভোট গ্রহণ করতে কয়েক ঘন্টা দেরি হয়ে যায় এমনকি বিরোধী প্রার্থী দের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কালনা শহরের মন্তেশ্বরে।
তবে কালনা মহকুমা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে বিরোধীদের দাবি ছিল কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কিন্তু রাজ্য সরকারের পুলিশ যথেষ্ট উদ্যোগ এবং সাহসের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট পর্ব শেষ করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি অর্থাৎ উন্নয়নের পক্ষে মানুষ আছেন উন্নয়নের গতিকে বজায় রাখবার জন্য ভোটাররা আগামী দিনে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন যে, “এক কথায় বলা যেতে পারে ভোট যেভাবে হবার কথা ছিল তা কিন্তু হয়নি শাসক দল নিজেদের মতোই ভোটটা করিয়ে দিয়েছে।”
তাই ভোট পর্ব শান্তিপূর্ণ দাবি হলেও অনেক জায়গায় গন্ডগোল ও প্রার্থীদের উপরে হামলার অভিযোগ ঘিরে কিছুটা গরম ছিল জেলার ভোট উৎসব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584