নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো জানিয়েছে ২০১৩ সালের ইডিকেশন বিভাগের কেলেঙ্কারি মামলা, যার সাথে অজিত পাওয়ারের নাম জড়িত, সেগুলি এখনও বন্ধ করা হয়নি। এর আগে একটি সংবাদমাধ্যম প্রচার করেছিল যে ২০১৩ এর ইডিকেশন সংক্রান্ত মামলাগুলি শর্ত সাপেক্ষে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে এসিবি এর ডিজি পরমবীর সিং এএনআই কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইডিকেশন এর টেন্ডার সংক্রান্ত ৩০০ এর বেশি অভিযোগগুলি আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। বন্ধ হয়ে যাওয়া ইনকোয়ারিগুলি কোনওটাই অজিতের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
বন্ধ হয়ে যাওয়া মামলাগুলির মধ্যে কয়েকটি ফৌজদারী ও বাকিগুলি অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কিত মামলা।
এ দিকে অজিত পাওয়ারের ইডিকেশন স্ক্যাম কেস বন্ধ হওয়া নিয়ে টুইটারে শিবসেনা নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছিলেন, “মামলা বন্ধ, দুর্নীতির অভিযোগ কমেছে, ক্ষমতায় থাকতে নির্লজ্জতা প্রকাশিত হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ বাল্যবিবাহ রোধের সচেতনতা জারি পথনাটকের মাধ্যমে
২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেস দল ক্ষমতায় থাকাকালীন মহারাষ্ট্রের ইডিকেশন বিভাগের বিভিন্ন গাফিলতি ও অনিয়মে প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছিল।
১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে অজিত পাওয়ার ইডিকেশন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। ইদিকেশন বিভাগের কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত এই কেসটি তদারকি করছিল অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো।
২০১৮ এর নভেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাওসাহেব দানভে, তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেছিলেন যে ইদিকেশন বিভাগ সংক্রান্ত যাবতীয় কেলেঙ্কারির মামলায় যে কোনও সময়ে অজিত পাওয়ারকে গ্রেফতার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতির মাঝেও সৌজন্যবোধ তৃণমূল প্রার্থীর
জাতীয় কংগ্রেস দলের ছাগন ভূজবাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তাঁরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন অজিত পাওয়ারকে পদত্যাগ করিয়ে শারদ পাওয়ারকে ক্ষমতায় ফেরানোর।
প্রসঙ্গত, বিরোধী পক্ষের ‘গণতন্ত্র হত্যার’ প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি দেশীয় গণমাধমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টাই গণতন্ত্র হত্যার সব থেকে বড় নিশান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584