শ্যামল রায়, নবদ্বীপঃ
গঙ্গা নদীতে জল বৃদ্ধির ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। সোমবার বিভিন্ন এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে যে ,সব থেকে বেশী ভাঙন শুরু হয়েছে শান্তিপুর থানা এলাকায়। গত রাতে বেলঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারিয়া মাঠপাড়া এলাকায় একাধিক চাষযোগ্য জমি এবং আমবাগান গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে । পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে গঙ্গা নদী ভরে গিয়েছে ৷ গত রাত থেকে এলাকায় যে ব্যাপক হারে ভাঙন শুরু হয়েছে তার ফলে গঙ্গা গর্ভে চলে গিয়েছে আমবাগান ,চাষ যোগ্য জমি এবং রাস্তাঘাট। এলাকাবাসীর দাবি যে গঙ্গার ভাঙনের স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন ৷ তবে মাঝেমধ্যে বালির বস্তা ফেলে গঙ্গার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় যার ফলে টাকার অপচয়ই হয় কোন স্থায়ী সমাধান হয়না ৷ এলাকার মানুষের দাবি গঙ্গার ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নিক সেচ দফতর ।
আরও পড়ুনঃ দাসপুরে সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন ত্রিশটি গ্রাম
এছাড়াও ভাঙন শুরু হয়েছে নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত বাহির চড়া,বালির চর এলাকা,মালিতা পাড়া সংলগ্ন ঝালুই ডাঙ্গা এলাকাতেও ভাঙন শুরু হয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে এই এলাকায় ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ৷ তার উদ্যোগে কাজ শুরু করা হলেও গঙ্গা নদীতে ব্যাপকহারে জল বেড়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ফকির ডাঙ্গা ঘোলা পাড়া এলাকা সংলগ্ন গঙ্গার ভাঙন অব্যাহত। মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনে চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ফুঁসছে কংসাবতী, আশঙ্কায় দিন কাটছে এলাকাবাসীর
মাজিদা পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গঙ্গার ভাঙন রোধে কিছু ব্যবস্থা করা গেলেও মালিপাড়া বালির চড়া বাহির চড়া এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি গঙ্গার ভাঙন রোধে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নিক সেচ দফতর ।তবে নবদ্বীপ সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে মাঝেমধ্যেই বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও আগামী দিন ভাঙনের ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে ৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584