রবীন্দ্র জয়ন্তীতেই দোকানে হালখাতার অনুষ্ঠান ব্যবসায়ীর

0
434

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

the halkhata in the rabindra jayanti
ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহা। নিজস্ব চিত্র

পহেলা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় নয়।বরং প্রত্যেক বছর নিয়ম করে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতেই হালখাতার অনুষ্ঠান করেন মাথাভাঙার এক বস্ত্র ব্যবসায়ী।এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বিশ্বকবিকে নিয়ে এমন আবেগ,আজ ব্যবসায়ীর এই আবেগ মাথাভাঙার বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহাকে সংবাদের শিরোনামে তুলে এনেছে।
এদিন সকালে মাথাভাঙ্গা শহরের শীতলখুচি রোডের প্রদীপ বাবুর বস্ত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়ম করে শুরু হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী।

the halkhata in the rabindra jayanti
নিজস্ব চিত্র
the halkhata in the rabindra jayanti
নিজস্ব চিত্র

প্রচুর মানুষ এসে ভীর জমান সেখানে তাঁদের মিষ্টি মুখ করানো হয়। ভীর জমান সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।কি ভাবনা থেকে তাঁর এই রবীন্দ্র জয়ন্তীতে দোকানের হালখাতার অনুষ্ঠান করার ভাবনা,তুলে ব্যক্ত করেন।তিনি জানান,কবিগুরুই তাঁর প্রিয় কবি- লেখক।কবিতার পাশাপাশি বিশ্বকবির ছোটোগল্প, উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীতও তাকে সমান ভাবে আকৃষ্ট করে।

আরও পড়ুনঃ নেপালি সাহিত্য সভার উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব পালন

২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তিনি তাঁর দোকানে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে হালখাতার অনুষ্ঠান করে আসছেন।তিনি বলেন, “ছোট বেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ কে ভালবাসি,রবীন্দ্রনাথ আমার প্রিয় কবি,নাট্যকার,গল্পকার,গীতিকার ও উপন্যাসিক।তাই ২৫ বৈশাখের দিনই হালখাতা করার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছি।

আমি যতদিন বাঁচবো,এই দিনেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে।ক্রেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যে কার্ড ছাপব,তাতে গণেশ নয়, থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।” আর শুধু রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে নয়, প্রত্যেকদিন নিয়ম করে পূজা করেন কবিগুরুকে।তাঁর মেয়ে পিউলী সাহা বর্তমানে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যরত।তিনিও রবীন্দ্র অনুরাগী বলে জানিয়েছেন প্রদীপ বাবু।তাঁর কথায়, “ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই আমার ঠাকুর, আমার ঈশ্বর।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here