নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বিপথগামী যুব সমাজকে পথে আনতে এক অভিনব পন্থার আয়োজন করা হলো।গ্রাম জুড়ে হরিনাম প্রচার করা হলো সকাল সন্ধ্যা।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর মেমুল গ্রামের। ‘হরি নামের গুনে খোঁড়া হাঁটে, বোবা কথা বলে ‘ এই আপ্তবাক্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন গ্রামের হরিভক্ত রাম দাস।
তিনি গ্রামের বয়স্ক ব্যাক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে, গ্রামের অধিকাংশ যুবকেই বিপথে যেতে বসেছে।কেউবা তাস,কে বা জুয়া মদের নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছে।এইভাবে তো সমাজ চলতে পারে না।তাদের এই নেশা থেকে মুক্তি দিতে হবে।
তাই তিনি ঠিক করলেন গ্রামের আবালবৃদ্ধ দের নিয়ে সকাল সন্ধ্যা হরিনাম প্রচার করবেন খোল করতাল সহযোগে।সেই মতো দিনের শুরুতেই গ্রামের সকলকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন হরিনাম প্রচারে।পুরো গ্রাম জুড়ে চলে হরিনাম সংকীর্তন।রাম বাবুর সঙ্গে গ্রামের সকলেই মেতে উঠেন হরিনামে।এই অভিনব পন্থার উদ্যোক্তা রামবাবু বলেন, “বর্তমানে যুবসমাজ নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছে।তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই হরিনাম প্রচার। আগে আমাদের নিজের গ্রামে শুরু করেছি।
ধীরে ধীরে অন্য গ্রামের এই হরিনাম প্রচার করবো।শালবনীর মধুপুর, মেমুল,কলাইমুড়ি ছিল মাওবাদীদের পীঠস্থান।যেখানে খুন, রক্তের হোলিখেলা লেগেই ছিল।পরিবর্তনের পর এলাকায় শান্তি ফিরে আসলেই অন্য নেশায় মেতে উঠে এলাকার যুব সমাজ।
মদ, জুয়া ইত্যাদি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। আবগারী দপ্তর মাঝে মাঝে হানা দিলেও কয়েকদিন পর আবার সেই একই অবস্থা হয়ে যায়। তাই যুব সমাজ কে ফিরিয়ে আনতে এই নতুন পন্থা অবশ্যই প্রশংসনীয়।গ্রামেরই কলেজ পড়ুয়া শিউনাথ দাস বলেন, ” যখন সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে, কোনো কিছুতেই তাদের নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না,তখন এই হরিনামের মধ্য দিয়েই যদি ফিরে আসে তবে ক্ষতি কি? “
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584