দক্ষিন দিনাজপুর,শিবশংকর চ্যাটার্জ্জীঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু কে ঘিড়ে উত্তপ্ত হলো হাসপাতাল চত্ত্বর।অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতিতেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।মৃতার নাম চুমকি মালো(২০)।জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পার পতিরাম হাট খোলার বাসিন্দা চুমকি মালো।প্রসব বেদনা নিয়ে সোমবার সকালে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্ত্তি হয়।
অভিযোগ সকাল প্রায় ৭টা নাগাদ চুমকি মালো নামক ঐ গৃহবধু হাসপাতালে ভর্ত্তি হলেও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক অরুপ দে তাকে চেক আপ করতে আসেন সকাল ১১ টা নাগাদ।শুধু তাই নয় আরও দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে প্রসূতি মহিলাকে সাধারন ভাবে প্রসব করানোর চেষ্টার কারনে যখন রুগীর দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয় তখন রুগীর দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের নার্সরা মেতে ছিলেন নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টায়।
এমনকি এর মাঝে একবারের জন্যও ঐ প্রসূতিকে দেখতে আসেননি হাসপাতালের চিকিৎসক অরুপ দে।এই অভিযোগ করা হলে হাসপাতলের নার্সরা জানায় স্ব-শরীরে চিকিৎসক না আসলেও চিকিৎসকের সঙ্গে হাসপাতালের নার্সদের ফোন মারফত নাকি চলছিল চিকিৎসা।এরপর ঐদিনই রাত্রিতে চিকিৎসক অরুপ দে ঐ প্রসূতি মহিলাকে সিজারিয়ান প্রসব করেন এবং চুমকি মালো নামক ঐ প্রসূতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি-তৃণমূলের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ধুন্ধুমার দাসপুর
এরপরেই ঐ প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে আরম্ভ করে।রুগীর আত্নীয় পরিজনদের অভিযোগ এই সময় তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন কাগজে টিপ সহি নিয়ে নেয় এবং তাদের ভিডিও তুলে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এর কিছুক্ষণ পর মঙ্গলবার ভোর রাত্রে চুমকি মালো মারা যায়।
অভিযোগ মারা যাওয়ার পরেও অভিযুক্ত ঐ চিকিৎসক রুগীর পরিজনদের চুমকি মালো-র মৃত্যুর পোস্টমর্টেম না করানোরও পরামর্শ দেন। প্রসূতি মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার জেলা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চুমকি মালো-র আত্মীয় পরিজন ও গ্রামের বাসিন্দারা।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে এদিন তারা বিক্ষোভ দেখায়।উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584