সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
মেয়ে দেখতে তেমন সুন্দরী নয়, গায়ের রং ও চাপা- চেহারা নিয়ে এমনি গঞ্জনা।আর এনিয়ে শ্বশুর বাড়ির লাঞ্ছনা গঞ্জনা ছিল প্রতিদিনের ঘটনা।শেষমেষ অপমানে আত্মঘাতী হলো গৃহবধূ।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানার গগন গোয়ালির।
শনিবার রাতে দেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।গৃহবধূর পরিবারের লোকজনেদের অভিযোগ দেড় বছর আগে মগরাহাট থানার চাকদা জয়পুরের বাসিন্দা প্রতাপ সামন্তের ছোট মেয়ে পূর্ণিমা সামন্তের সঙ্গে বিষ্ণুপুর থানার গগন গোয়ালির বিলাস পাত্রের দেখে শুনে বিবাহ হয়।অভিযোগ যে বিবাহের বেশকিছু দিন ভালো ভাবে কাটছিলো এরপর ধীরে ধীরে অশান্তি হতে থাকে।
দেখতে তেমন সুশ্রী নয় বউ এমন কথা বলা হতে থাকে বরং বার।সেই নিয়ে গঞ্জনা দিত শ্বাশুড়ি শ্যামলী পাত্র।স্বামী পরিত্যক্তা ননদ মালতী পাত্র।
আরও পড়ুনঃ অভাবের সংসার,গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ
এই ভাবে বেশ কিছু যায়, তারপর শুরু হয় পূর্ণিমার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ।ছোট মেয়ে সুখের জন্য জায়গা জমি বিক্রি করে বাবা মা সর্বশান্ত হয়ে ১৭-১৮লক্ষ টাকা দেয়।অশান্তির মাত্রা এতোই বেড়ে ছিলো যে গতমাসের ২৬ তারিখে অভিযোগ করা হয় বিষ্ণুপুর থানায়।পূর্ণিমার একটি সাত মাসের শিশু কন্যা আছে।
আবারও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয় তাকে।গৃহবধূর বাবা মার অভিযোগ টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে।শনিবার বিকালে স্থানীয়দের নিয়ে মিমাংসা বসার কথাছিলো।কিন্তু গৃহবধূ পূর্ণিমা তার বাবা মাকে বলে যে রবিবার সকালে মিমাংসা হবে। গৃহবধূর বাবা প্রতাপ সামন্ত বলেন যে তাদের মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফ্যানের (পাখার)সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
পুরো বিষয়টি পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। বিলাস পাত্র স্থানীয় একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করে।গৃহবধূর বাবা প্রতাপ সামন্ত পেশাই সব্জী চাষি।তার তিন মেয়ে,পূর্ণিমা পাত্র তার ছোট মেয়ে ।পূর্ণিমার বয়স ২২ বছর । প্রতিবেশীদের বক্তব্য প্রায়শই গৃহবধূর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584