নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিশ’ ঘোষণা করেছে যে মায়ান্মারের মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত রোহিঙ্গা উপজাতিদের গণহত্যার অভিযোগের বিষয়টি একটি দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ বিচার দাবি করে। রোহিঙ্গাদের উপর করা গাম্বিয়াদের এই ষড়যন্ত্রের কথা ১৯৪৮ সালে ডাকা গণহত্যা সম্মেলনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
কোর্ট জানিয়েছে, যে কোনও রাজ্যের রাজনৈতিক দলই গণহত্যার মতো বিষয়কে বিচারাধীন করার পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে গণহত্যার ব্যাপকতা আপেক্ষিক হলেও সেই বিষয়টিকে গণহত্যা হিসেবেই দেখা হবে। লঘু ভাবে বিচার করা যাবে না।
গাম্বিয়া ২০১৯ এর নভেম্বরে কোর্টে ৭৩০,০০ রোহিঙ্গা যাযাবরদের পরিযানের কথা তুলেছিল। সরকারের সমর্থনে আদালতে একটি মামলার শুনানিতে মায়ানমারের নোবেলজয়ী রাজ্য কাউন্সিলর অনুগ সান সু কুই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ১৫০ টাকায় চুল বিক্রি করে সংসারের হাল ধরা প্রেমা গাইছে জীবনের জয়গান
কোর্টের বিচারব্যবস্থা নিয়ে মায়ানমার তার প্রাথমিক বিতর্কের জায়গা থেকে জানায় গণহত্যা বিষয়ক ৯ নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী একথা স্পষ্ট যে এই মামলাটি প্রত্যক্ষ ভাবেই গণহত্যার মধ্যে পড়ে।
এর পাল্টা জবাবে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিশ জানায়, এমতাবস্থায় কোর্ট যা করতে পারে, তা হল অস্থায়ীরূপে একটি আদেশনামা বের করতে পারে, যার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে রোহিঙ্গাদের উপর গাম্বিয়া কর্তৃক আরোপিত গণহত্যার কোন কোন শর্তাবলী পুরোপুরিভাবে জেনোসাইড কনভেনশনের আর্টিকেলের শর্তাবলীর সাথে মেলে।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকাতেও প্রবেশ করোনা ভাইরাসের, সতর্কতা জারি বিজ্ঞানীদের
কোর্টের মতে, গাম্বিয়ার তরফে আনা কিছু কিছু অভিযোগ গণহত্যার শর্তাবলী গ্রাহ্য করে। রায় ঘোষণা করাকালীন আদালতের প্রেসিডেন্ট আবদুলকাই আহমেদ ইউসুফ বলেন, গণহত্যার অর্থ হল কোনও একটি নির্দিষ্ট জাতীয় অস্তিত্বকেই নির্মূল করে দেওয়া। এই ঘটনা গোটা মানজাতিকেই অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।
আদালতের ১৭ জন বিচারকের বেঞ্চ একসাথে রোহিঙ্গাদের একটি ‘প্রটেক্টেড গ্রুপ’ বলেই সম্বোধন করেছিল। এর মধ্যে একজন বিচারক গাম্বিয়া এবং আর একজন বিচারক মায়ানমার থেকে ছিলেন। ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ বা গণহত্যা সম্মলন’-এর আর্টিকেল ২ এও রোহিঙ্গাদের একটি ‘প্রটেক্টেড গ্রুপ’ হিসেবেই সম্বোধন করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584