শ্যামল রায়,মন্তেশ্বরঃ
দীর্ঘদিন ধরে মন্তেশ্বর থানার অন্তর্গত নদীর বুকে ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর থাকলেও আজও তা উপেক্ষিত।বিভিন্ন সময়ে কখনো পঞ্চায়েত নির্বাচন কখনো বিধানসভা কখনো লোকসভা ভোটের মুখে এলাকার মানুষ প্রতিবাদে সরব হলেও রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন যে এবার খড়ি নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করা হবে। কিন্তু আজও তা অধরা।

জানা গিয়েছে যে বাম আমলে মাপজোক এবং অনেকটাই কাজ এগিয়ে গেলেও বর্তমানে সকলেই যেন নিশ্চুপ। দিদিকে বল কর্মসূচির প্রাক্কালে এলাকার মানুষ অভিযোগ জানালেও আদৌ কাজ হবে কিনা প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষজন।
জানা গিয়েছে যে মন্তেশ্বর থানার একাধিক গ্রামের মানুষজন এই খড়ি নদীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।দেখা গিয়েছে যে দুটি নৌকা জোড়া লাগিয়ে তার ওপর বাঁশের মাচা তৈরি করা হয়।এই বাঁশের মাচার উপর দিয়েই যানবাহন বলতে বাইক এবং যাত্রীরা পারাপার করে থাকেন।

তবে বর্ষাকালে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় যদি বাঁশের মাচা কোনভাবে নৌকা থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায় এই আতঙ্কে ভোগেন যাত্রী সাধারণ।একদিকে মন্তেশ্বর ব্লক অন্যদিকে পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লক দুটি ব্লকের মানুষ এই খড়ি নদী ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছান।
আরও পড়ুনঃ গড়বেতার জীর্ণ পুরন্দর খালের সেতুতে ঝুঁকির পারাপার
ঘাগড়া গ্রাম, মিনাপুর,কদমতলা ,মথুরা, হাজরাপুর,রাউথ গ্রাম, গোকর্ণ প্রভৃতি গ্রামের মানুষ এই ঘড়ি নদীর উপর দিয়ে বাঁশের মাচা তার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
কালনা মহকুমা শাসক নিতিশ ঢালী জানিয়েছেন যে, “কয়েক মাস আগে এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমরা তারপর থেকেই নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।জানিনা কে বা কারা ফের নৌকা চলাচল করার চেয়ে বিষয়টি দ্রুত দেখা হবে।তবে খড়ি নদীর উপর ব্রিজ তৈরির বিষয়ে এলাকার মানুষ যদি লিখিতভাবে আমাদের কাছে জানায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।”
জানা গিয়েছে যে কৃষিপ্রধান এই এলাকায় সবজি চাষের প্রভাব অনেকটাই বেশি তাই বিভিন্ন রাজ্যে এখানকার সবজি চলে যায় কিন্তু খড়ি নদীতে ব্রিজ না থাকার কারণে সবজি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছানোর বিষয়টি জটিল হয়ে রয়েছে।
বিক্রি করতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে শুধুমাত্র যাতায়াতের কারণে।স্থানীয় কৃষকরা চায় খড়ি নদীর উপর ব্রিজ দ্রুত তৈরি হোক তাহলে উৎপাদিত বিভিন্ন রকম ফসল বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে সহজ হবে।
স্থানীয় শ্যামসুন্দর ঘোষ জানিয়েছেন যে, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি খড়ি নদীর উপর সেতু তৈরি হোক কিন্তু আজও তৈরি না হওয়ায় আমাদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে দুটি নৌকাকে জোড়া লাগিয়ে তার ওপর বাঁশের মাচা তৈরি তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাদের তবে,বর্ষাকালে প্রাণের ঝুঁকিটা বেশি মাত্রায় থাকে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584