নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়াঃ
গাঁজা পাচারের ব্যাপকতা এখনো কমতি পড়েনি সারা রাজ্যের সাথে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে শুরু করে নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
ইতিমধ্যে পূর্বস্থলী থেকে গাঁজা পাচার হয়ে সোজা চলে যাচ্ছে নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা হয়ে অন্য দেশে।তবে নদীয়া জেলার গাঁজা পাচারকারীদের রমরমা কারবার চাকদহতে। চাকদহ থানা সংলগ্ন এলাকার মধ্যে গাঁজা পাচারকারী হিসাবে পরিচিতি পাগলা নামে জনৈক ব্যক্তির বাড়বাড়ন্তে উৎসাহিত গাঁজা ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ যে এই গাঁজা পাচারকারী হিসাবে পরিচিতি পাগলার বিষয়টি প্রশাসনিকস্তর থেকে শুরু করে পুলিশের একটা অংশ খুব ভালো মতই জানেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই জনৈক পাগলার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায়।আর নদীয়ার চাকদহতে এই ব্যবসার প্রধান কারিগর এই জনৈক ব্যাক্তি।তবে আরও জানা গিয়েছে যে দীর্ঘ কয়েক বছর আগে গাঁজা সমেত ধরা পড়ায় তার ব্যবহৃত গাড়ি ও জেলার কোন থানায় রয়ে গেছে বলে খবর।তবে এই গাঁজা ব্যবসায় অর্থলগ্নি হয় ব্যাঙ্গালোরের কোন এক সোনা ব্যবসায়ী ব্যক্তির।
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর যে,ব্যাঙ্গালোরের দুইজন সোনা ব্যবসায়ী এই গাঁজা ব্যবসায়ায় টাকা যুগিয়ে আসছে।
আর এই অর্থ যোগানের প্রধান ব্যক্তি হলো পূর্বস্থলীর হরে কৃষ্ণ বালা।ওরফে মরন বালা।আরো জানা গিয়েছে যে এই মরন বালান নামে ইতিমধ্যে পূর্বস্থলী থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।গা ঢাকা দিয়ে এই মরন বালা ব্যাঙ্গালোরে রয়েছে বলে খবর। যদিও আরো খবর মাঝেমধ্যেই জায়গা পরিবর্তন করে থাকে এই জনৈক সোনা ব্যবসায়ী অর্থলগ্নিকারী করে থাকে গাঁজা ব্যবসায়ায় মরণ বালা।পূর্বস্থলীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ যে ব্যাঙ্গালোরের দুই সোনা ব্যবসায়ীর লগ্নিকারী টাকায় এই গাঁজা ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত থাকাতেই এই সমস্ত অঞ্চলে গাঁজা পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত।তবে এর পিছনে ব্যাঙ্গালোরের সোনার টাকায় চলছে গাঁজা ব্যবসার রমরমা কারবার,এমনটাই গুঞ্জন এলাকা জুড়ে।
তবে আরো খবর যে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনে গাঁজা পাচার হচ্ছে বলে খবর। কাটোয়া ব্যান্ডেল রেল শাখায় বিভিন্ন রেল স্টেশনে এই গাঁজা ট্রেন থেকে নেমে বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়ে যায় বলে খবর রয়েছে মুখে মুখে।এছাড়াও জাতীয় সড়ক ধরেও উত্তরবঙ্গের ইম্ফল মণিপুর ওড়িশা প্রভৃতি ভিনরাজ্য থেকে গাঁজা এই পথেই পাচার হয় বলে খবর।
আর এই কারবারের প্রধান যারা আছেন তাদের এলাকা পূর্বস্থলীতে।এই পূর্বস্থলী থেকেই বিভিন্ন টার্নিং পয়েন্টে গাঁজা পাচার হয়ে যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।তবে পূর্বস্থলী থানাসহ নবদ্বীপ থানা যথেষ্ট তৎপর এই গাঁজা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এবং অভিযান চালাতে। কয়েক মাস আগেও নাদন ঘাট থানা পুলিশ পূর্বস্থলী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে এবং পাচারকারীদের গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে খবর পেলেই যেনতেন প্রকারে গাঁজা পাচারকারীদের ধরতে এবং কড়া ব্যবস্থা নিতে যথেষ্টভাবে তৎপর।কয়েকদিন আগে বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার বিভিন্ন থানার পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ জারি করে দিয়েছেন যে দ্রুত গাঁজা পাচার বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিয়মিতভাবে অভিযান চালাতে হবে।নির্দেশ পাওয়ার পরপরই বিভিন্ন থানার পুলিশ রাতদিন সমান করে প্রচার অভিযানে নেমে পড়েছে বলে খবর। ব্যাঙ্গালোরের টাকায় গাঁজা পাচার চলছে কিনা বা কিভাবে গাঁজা পাচার হচ্ছে সে ব্যাপারে ও বিভিন্ন বিভাগের পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। বর্ধমান মুর্শিদাবাদ নদিয়া হুগলি উত্তর ২৪ পরগনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারনে গাঁজা পাচার কারীদের পক্ষে সুবিধেজনক।গা ঢাকা দিতে অসুবিধা হয় গাঁজা পাচারকারীদের। নদীয়ার চাকদহের পাগলা এভাবেই দিনের পর দিন গাঁজা পাচারকারি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে অনায়াসে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকার অবমাননা,প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584