রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
কেন একসঙ্গে খাও না?- সংবাদ কর্মীর প্রশ্নের উত্তরে ক্যামেরার সামনে ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার উত্তর ওরা মুসলমান, অপরদিকে ওপর রান্না ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পড়ুয়াকে একই প্রশ্ন সাংবাদিকের লাজুক মুখ নামিয়ে পড়ুয়া জানিয়ে দিল আসল সত্যি।
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার অর্ন্তগত আহিরন ব্লকের রামডবা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের দুটি আলাদা ঘরে মিড-ডে মিলের রান্না হয়।এক স্কুলে দুটি রান্না ঘর কেন?
জানা গেল, বেশ কয়েক বছর ধরে মূলত অভিভাবকদের আপত্তির জেরে এই বন্দোবস্থ। সুতি থানা এলাকার এই মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থানীয় রামডোবা এবং বসন্তপুর এলাকার পড়ুয়ারা পড়াশুনা করে। অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসরশ্রেণির মানুষের বাস এই দুই এলাকাতেই।
বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা বিড়ি বাঁধা অথবা পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে বাইরে কাজ করেন। এরমধ্যে রামডোবা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম এবং বসন্তপুরের বেশিরভাগ মানুষ হিন্দুধর্মাবলম্বী। এই শিক্ষা কেন্দ্রের বেশিরভাগ পড়ুয়া প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। প্রায় ৩৩০ জন পড়ুয়া এখানে পড়াশুনা করে ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম কুমার দাস জানান,মূলত রামডোবা এলাকার কিছু অভিভাবকের আপত্তির জেরে রান্না ঘর আলাদা করতে হয়।
প্রশাসনকে জাননো হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও জানান যে, তাঁদের পক্ষ থেকে একটা চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তখন বাধ সাধেন রান্নার মাসিরা।
অসীম বাবুর কথার সুর ধরে বোঝা যায় যে, প্রশাসনিকভাবে কারেক্ট থাকতেই কর্তা ব্যক্তিরা সমস্যা সামধানের বিষয়ে অভিভাবক সাধারন মানুষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান উদ্যোগে খামতি রয়ে গেছে। যার ফলে সুকুমার মতি ছাত্রছাত্রীদের কোমল মনে বিভেদের বিষের বিষাক্ত চর্চা চলছে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584