ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় খুন,পুলিশের জেরায় স্বীকারোক্তি যুবকের

শ্যামল রায়,কালনাঃ

কয়েকদিন আগেই মন্তেশ্বরের ঘোড়াডাঙ্গা ও হোসেনপুর এলাকায় মাঠের মাঝে পড়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার রহস্যমৃত্যুর কিনারা করল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।মৃত ঐ মহিলার নাম হাপনময় টুডু(৩২)।বাড়ি ঝাড়খন্ড এলাকায়।এই ঘটনায় যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম রাজা টুডু।

তার বাড়িও ওই এলাকায়।পূর্ব পরিচিত ওই মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।এরপর সে বাঁধা দেওয়ায় তাকে গলা টিপে খুন করেছে বলে জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকার করে রাজা টুডু নামে ওই অভিযুক্ত।ধৃতকে রবিবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুনঃ দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা প্রতিবেশী যুবকের

স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,হাপনময় টুডু তার স্বামীকে নিয়ে মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামের একটি বাড়িতে আসে দিনমজুরের কাজ করতে।সেখানে ওই মহিলার পূর্ব পরিচিত রাজা টুডুও কাজ করতে আসে।এই ঘটনার পরই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।পুলিশ ১৫ ই মে এই ঘটনার পরেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।এরপরেই মৃত মহিলার স্বামী তার স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারেন যে বিয়ের আগে ঝাড়খন্ডের পাকুর থানার কালিদাসপুর এলাকায় আদিবাসী মহিলা হাপনময় টুডু ও রাজা টুডু নামে ওই যুবকের বাড়ি ছিল।বিয়ের আগে রাজার সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক ছিলো।কিন্তু অন্য একজনের সঙ্গে হাপনময়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।যদিও রাজা ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করে।

কিন্তু ওই মহিলা না চাওয়ায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে রাজা।বাঁধা পাওয়ায় তাকে গলা টিপে খুন করেছে বলে সে জেরায় পুলিশকে জানায়।এক পুলিশ আধিকারিক জানান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।রবিবার কালনা আদালতে ধৃতকে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়।