নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
তিন মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহার ৭৫ ইউনিটের মধ্যে হলে, বিদ্যুৎ বিলে পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ ছাড়— গতকাল রাজ্য বাজেটে এই প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, এতে গরীব ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির উপকার হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সত্যিই কি এই সুযোগ মধ্যবিত্ত বা সামগ্রিক আমজনতার জন্য লাভবান?
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টম নিগম প্রতি তিন মাস পর পর বিদ্যুতের বিল বাড়িতে পাঠায়। তিন মাসের বিদ্যুৎ খরচকে সমান ভাগে ভাগ করে সমষ্টিগত হিসাবই হয় তিন মাসের বিদ্যুতের মোট খরচ। মাস প্রতি আলাদা করে বিদ্যুতে কত ইউনিট খরচ হচ্ছে, সেই হিসাব জানা যায় না।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির পথে হেঁটে বাংলায় ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম জানিয়েছে, তিন মাসের শেষে যাদের বিদ্যুতের খরচ ৭৫ ইউনিটের মধ্যেই থাকবে, তারাই এই সুবিধা পাবে। সেক্ষেত্রে ৭৫.০১ ইউনিট বিদ্যুতও যাদের খরচ হবে, তাদের পুরো ইউনিটের খরচটাই দিতে হবে।
হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে কোনও গৃহস্থ বাড়িতে বিদ্যুতের সম্পূর্ণ ছাড় পাওয়া সম্ভব নয়। যদি কোনও বাড়িতে গড়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা ১০০ ওয়াট বিদ্যুতও ব্যবহার হয়; অর্থাৎ একটি ফ্যান ও একটি সিএফএল বাতি জ্বালানো হয়, তাহলেও বিদ্যুতের বিল হবে দিন প্রতি ১.৮ ইউনিট। অর্থৎ ৩ মাসে ১৬২ ইউনিট।
অর্থাৎ ছাড়ের সীমার প্রায় দ্বিগুণ। তিন মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ দেখাতে হলে দিন প্রতি ০.৮৩ ইউনিটে বিদ্যুৎ খরচ বেঁধে রাখতে হবে। অর্থাৎ ঘণ্টায় গড়ে ৪৬ ওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ খরচ করা যাবে না। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে মাস প্রতি ৭৫ ইউনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ খরচ করা খুব কঠিন বিষয়।
একমাত্র যাদের একাধিক বাড়ি এবং বাড়িতে বসবাসরত কেউ সেভাবে থাকে না, সেক্ষেত্রে এটা কার্যকরী করা অনেকটাই সহজ। কারণ সেখানে বিদ্যুৎ খরচের মাত্রাও অনেক কম হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584