শ্যামল রায়,কালনাঃ
সোমবার সাত সকালে ঝির ঝিরে বৃষ্টির মধ্যে ফের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলো কালনার ভাগীরথী গঙ্গায়।কোনো প্রাণহানির ঘটনা এইদিন না ঘটলেও বড়োসড়ো দুর্ঘটনা ঘটতেই পারতো বলে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।যদিও নৌকাটিতে যাত্রী ছিলো না এই যা বাঁচোয়া।
ছিলো অতিরিক্ত মালবোঝাই অর্থাৎ চালের বস্তা বোঝাই নৌকা।ডুবে যাওয়া নৌকার বেশীরভাগ চালের বস্তা উদ্ধার হলেও বেশ কয়েকটি চালের বস্তা নদীতে তলিয়ে যায়।ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয়রা।বেআইনীভাবে অতিরিক্ত মালবোঝাই করা এই নৌকাগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় ও নদীঘাট কর্তৃপক্ষসূত্রে জানা যায় যে,সোমবার পৌনে ন-টা নাগাদ কালনার খেয়াঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকায় ভ্যানগাড়ি থেকে চালের বস্তা তোলা হচ্ছিল।এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়।তারপরেই ওই নৌকার মাঝি ও মালিকের অনিচ্ছা সত্বেও তাড়াহুড়ো করে অতিরিক্ত চালের বস্তা ওই নৌকায় তুলে দিলে নৌকাটি চালের বস্তা সহ ডুবে যায়।
আরও পড়ুনঃ লাইনের ভ্যান টোটোর লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রুগী
নৌকায় থাকা মাঝি ও মালিক জলে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে ওঠে।তড়িঘড়ি বেশীরভাগ চালের বস্তা উদ্ধার করা হলেও নৌকাটি ডুবে যায়।দড়ি দিয়ে নৌকাটিকে টেনে তোলার কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রা।প্রশ্ন উঠেছে ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা বেআইনীভাবে মালবোঝাই করা এইসব নৌকার পারাপার করা নিয়ে।
এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন অনেকেই,কারণ ব্যক্তিগত এইসব নৌকার উপর প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।এই ঘটনায় বছর দুয়েক আগে নৌকাডুবির ঘটনায় একুশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি ফের উস্কে দিলো।
এই বিষয়ে ঘাটমালিক জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন,‘এইসব নৌকাগুলির সঙ্গে ঘাটের কোনো সম্পর্ক নেই।অর্থাৎ এরা আমাদের নিয়ন্ত্রনে নয়।অতিরিক্ত মালবোঝাই করে তারা নিয়ে যায়।আমরা কিছু বললে সেটা হিতে বিপরীত হয়।এর আগেও বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584