নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার, তৃতীয় দিনে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বাতাবরণের এরকম প্রদূষণের জন্য দিল্লির স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দিল্লি এনসিআর এর স্কুলগুলি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দূষণের মাত্রা প্রায় ‘জরুরি’ সীমায় দাঁড়িয়ে ছিল। এর আগে সরকারি সংস্থাগুলি এ নিয়ে সতর্ক করেছিল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) গণনায়, সকাল ৭ টায় বাতাসে একিউআই এর মাত্রা ছিল ৪৬৩, সাথে একদমই বাতাস দিচ্ছিল না। বুধবারে একিউয়াই এর মাত্রা ছিল ৪৫৬।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বায়ু দূষণ কিছুটা কমতে পারে। তখন বাতাসের গতি বাড়ারও একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
একতি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে একটি ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন ইতিমধ্যেই ঘণীভূত হচ্ছে, যা উত্তরের পাহাড়গুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের দূষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান জুড়ে একটি প্ররোচিত ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনও বজায় রয়েছে। আইএমডি তার সকালের বুলেটিনে বলেছিল, “এর প্রভাবে, ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পশ্চিমা হিমালয় জুড়ে মোটামুটি ব্যাপক বৃষ্টি বা তুষারপাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে হতে পারে।”
আঞ্চলিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন্দ্রের পরিচালক কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “১৪ ও ১৫ নভেম্বর পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
১৫ নভেম্বর থেকে বাতাসের গতিবেগ ১৫-২০ কিলোমিটার বেগে উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করছি। পশ্চিমা অশান্তি শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বাড়াও শুরু করবে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়বে।” সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তর-পশ্চিম ভারতের উপরের দিকে দু’দিনের মধ্যে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরের দু’দিনের মধ্যে নূন্যতম তাপমাত্রা পূর্ব এবং পার্শ্ববর্তী হয়ে মধ্য ভারতে নেমে আসবে।
বুধবার দিল্লি সরকার বায়ুর গুণগতমানের অবনতির কারণে ১৪-১৫ নভেম্বর নগরীর সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এনসিআর এর স্কুলগুলিও একই দিনে বন্ধ থাকবে। ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, গত দু’দিন ধরে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা বাড়াতে মূল ভূমিকা ছিল দূষণেরই।
দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, প্রয়োজন পড়লে ‘অড-ইভেন রোড রেশনিং স্কিম’ এর প্রয়োগ বাড়ানো যেতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584