শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিন দিনাজপুরঃ
পুজোর চারদিন এখন মঙ্গলচণ্ডী গানের মাধ্যমে দেবীকে প্রসন্ন করা হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোইদুল চৌধুরী বাড়ির পুজোয়।
সালটা ছিল ১৯১১ বোইদুলের জমিদার প্রসন্ন লাল চৌধুরী তার প্রথম পুত্র হওয়ার আনন্দে দূর্গা পুজা শুরু করেন।তারপর থেকে তিন পুরুষ ধরে চলে আসছে এই পুজো।
যার নিয়ম নিষ্ঠার এখন ভাটা পড়েনি।কালের নিয়মে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বনেদি বাড়ির পুজো গুলোতে মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর উঠে গেলেও এই বাড়ির পুজোতে সেই নিয়মের ছেদ পড়েনি।ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এখনো বোইদুলের পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুটিন,মালঞ্চা,খাঁপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মঙ্গলচন্ডীর গায়করা এসে দেবীকে প্রসন্ন করতে গান গায়।
এই চৌধুরী বাড়ির যে প্রতিমা শিল্পী রয়েছেন তারাও তিন পুরুষ ধরে ১০৯ বছর বংশানুক্রমিক ভাবে ঠাকুর বানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুনঃ পুজো মন্ডপের থিমে চন্দ্রযান ২ সহ আস্ত মহাকাশ
জানা গেছে এই বাংলার বেশীরভাগ দুর্গা পুজোর ঠাকুর তৈরী যেখানে রথের দিন দুর্গা পুজোর কাঠামো তৈরী শুরু হয় সেখান বোইদুলের এই চৌধুরীদের পুজোয় কাঠামো তৈরী শুরু হয় জন্মাষ্টমীর দিন।
পরিবারের সদস্যরা সেই প্রথম পুজোর মতই এখনো সন্ধি পুজোতে ছয়টি বন্দুক দিয়ে শুন্যে ফায়ার করে উল্লাস প্রকাশ করেন।এখন সাইকেলিক অর্ডার এই চৌধুরী পরিবারের লোকেরা পুজো করলেও নবমীতে গোটা গ্রামের লোককে ভোগ খাওয়ানোর রেওয়াজ চলে আসছে।
আর সেই প্রথম দিনের প্রথা মেনে এই পরিবারের সদস্যরা আজও গ্রামের বাসিন্দাদের চিঠি দিয়ে ভোগ খাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। অনেক বনেদী বাড়িই যখন পুরোনো রীতিনীতি পরিমার্জনা করে টিমটিম করে দুর্গা পুজো চালিয়ে যাচ্ছে।সেখানে প্রসন্ন লাল চৌধুরীর বংশধর এই বোইদুলের চৌধুরীরা পুরোনো সংস্কার যেমন টিকিয়ে রেখেছেন তেমনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ইতিহাসকে আকরে ধরেছেন নিজেদের মত করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584