সীমান্তে শিশুর কান্না জিতে নিল ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো স্টোরি অফ দা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড

0
128

নিউজফ্রন্ট,ওয়েব ডেস্কঃ

the photo story of the year award win a child
ছবিঃজন মুর,গেটি ইমেজস

মার্কিন অভিবাসন নীতির হাড় হিম করা সেই বিখ্যাত ছবি যেখানে একটি ফুটফুটে ছোট্ট শিশু ভয়ে চিৎকার করে কাঁদছে।গত বছর ১২ ই জুন এক আমাবস্যার রাতে রিও গ্র্যান্ড উপত্যকায় মার্কিন মেক্সিকো সীমান্তে পেট্রোল এজেন্ট দের ছবি তুলছিলেন ফটোগ্রাফার জন মুর।

আর সেখানেই ক্রন্দনরতা ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েটির ছবিটি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন অভিজ্ঞ বিখ্যাত গেটি ফটোগ্রাফার জন মুর।ওই ছবি সামনে আসতেই বিশ্বজুড়ে দুঃখজনক মার্কিন অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্কে শোরগোল পড়ে যায় সারা বিশ্বজুড়ে ।

তবে সব থেকে আনন্দের বিষয় হলো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো স্টোরি অফ দা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড এর প্রতিযোগিতায় বিশ্বজুড়ে ৪,৭৩৮ জন ফটোগ্রাফারের তোলা ৭৮,৮০১ টি ছবির মধ্যে থেকে সেরার শিরোপা পেল জন মুরের তোলা এই বিখ্যাত ফটো টি । ওয়ার্ল্ড প্রেস কর্তৃপক্ষের বিচারকরা জানিয়েছেন হন্ডুরাসের মা সান্দ্রা সানচেজ এবং তার মেয়ে ইয়েনেলা অবৈধভাবে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেছিল । অভিবাসন নিয়ে জন মুরের তোলা এই ছবিটি নিয়ে বিচারকদের মন্তব্য , “এটি একটি ভিন্ন ধরনের মানসিক হিংসার ছবি ।”

গত বছর ১২ ই জুন আমাবস্যার ঐদিন রাতে জন মুর একদল গোষ্ঠীকে দেখেন যারা মার্কিং মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছেন ।চিত্র সাংবাদিক মুরের কথায়,”আমি ওদের চোখে মুখে এক ভয়ের ছায়া দেখতে পাচ্ছিলাম।”

পেট্রোল এজেন্টরা ওদের পরিচয় জানালে , মুরে বলেন যে সে স্যান্দ্রা সানচেজ এবং তাঁর বাচ্চাটিকে তিনি একধারে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেন। “আমি হাঁটু গেড়ে বসে যাই,কয়েক মুহূর্তের মধ্যে খুব অল্প ফ্রেমে ওই ছবিটা ওঠে। আমি অন্যরকমের এক গল্প বলতে চেয়েছিলাম।”

মার্কিন মেক্সিকো সীমান্তে জুড়ে কাজ করা ৫১ বছর বয়সী অভিজ্ঞ চিত্র সাংবাদিক জন মুর জানান ,”আমার কাছে এটা মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করার একটি সুযোগ ছিল যা প্রায়শই পরিসংখ্যানের সাথে সম্পর্কিত। আমি মনে করি এ ধরনের সমস্যা, অভিবাসনের সমস্যা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, সারা বিশ্বের।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিত্রসাংবাদিক জন মুরের এই ছবি সামনে আসতেই মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার সুরক্ষার কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন , অভিবাসনে যাঁদের সন্তানদের থেকে আলাদা করা হয়েছিল সেই দলের মধ্যে ইয়েলেনা ও তাঁর মা ছিল না।পরে এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে গত বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নীতিটি পুনর্বিবেচনা করেন ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here