নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ
রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারন যেন বেড়েই চলেছে।লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ‘কাটমানি’ ইস্যুতে জর্জরিত শাসক শিবির।সোমবার সকালে সোনামুখীর পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্চিতা বাগদী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্দীপ ভুঁইয়ার সিমলা গ্রামের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষ।
এলাকার মহিলাদের নেতৃত্বে এই ঘেরাও কর্মসূচী করা হয় বলে জানা গেছে।অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা,শৌচাগার সহ বেশ কিছু সরকারী প্রকল্পে প্রধান ও ঐ তৃণমূল নেতা ‘কাটমানি’ নিয়েছেন,এমনকি প্রকৃত উপভোক্তাকে বঞ্চিত করে অন্য একজনকে সেই প্রকল্পের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি ইস্যুতে পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
এদিন কাটমানির টাকা অবিলম্বে ফেরতের দাবি জানানো হয়।আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড,ফেস্টুন সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষের এই ঘেরাও কর্মসূচীতে যোগ দেয়,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনামুখী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গ্রামবাসী হারাধন বাগদী,কল্পনা বাগদীরা বলেন,একজনের নামে মঞ্জুর হওয়া বাড়ি বা শৌচাগার অন্য এক জনকে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পঞ্চায়েতে বারবার জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি।
এই ঘটনার পিছনে শাসক তৃণমূলের কয়েকজন নেতা ও প্রধান নিজে যুক্ত বলে তাদের দাবি।তারা প্রত্যেকেই গরীব দিন মজুর পরিবারের সদস্য।অথচ সরকারী সাহায্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন,এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল থেকে নির্বাচিত প্রধান সঞ্চিতা বাগদী। তিনি বলেন, “আমি মাত্র ছ’মাস দায়িত্ব নিয়েছি। কোন সরকারী প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে কোন ধরণের টাকা নেওয়া হয়নি।”
তিনি জানান,বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আলোচনায় বসা হবে।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে গ্রামবাসীদের দাবিকে সমর্থন জানানো হয়েছে।দলের সোনামুখী মণ্ডল-১ এর সভাপতি শান্ত পালের দাবি, স্বয়ং পঞ্চায়েত প্রধানের শ্বশুর মশাইয়ের নামে মঞ্জুর হওয়া সরকারী প্রকল্পের বাড়ি অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে অনেকের কাছে কাটমানি খেয়েছে শাসক দল।বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে কাটমানি ফেরৎ চেয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বিজেপি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584