মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
শিক্ষক বদলির প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাল কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের পড়ুয়ারা।সোমবার জেলাশাসকের দপ্তর ও জেনকিন্স স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক শঙ্কর দত্তকে অনৈতিক ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কোচবিহার শহরে মিছিলের পাশাপাশি জেলাশাসক ও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেপুটেশন দেয় স্কুলের ছাত্ররা।
তাদের অভিযোগ,শিক্ষক শঙ্কর দত্তের বদলির নির্দেশ নিয়মবহির্ভূত ভাবে হয়েছে।জানা গেছে, এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে শঙ্কর দত্তের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।কিন্তু এরপরেই নির্বাচন আচড়ন বিধি লাগু হওয়ায় সেই সময় তাকে বদলি করা সম্ভব হয়নি।কিন্তু নির্বাচন আচারন বিধি উঠে যাবার পরেই শঙ্কর বাবুর বদলির নির্দেশ কার্যকর করা হয়।এরই প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয় ওই স্কুলের ছাত্ররা।স্কুলের বর্তমান ছাত্রদের সমর্থন করে তাদের পাশে দাঁড়ায় প্রাক্তনীরাও।
আরও পড়ুনঃ গ্রামে চা ফ্যাক্টরী নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
আন্দোলনকারীদের দাবি, এই বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।শঙ্কর বাবু অত্যন্ত যত্নবান এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক জন ইংরেজি শিক্ষক।তাকে বদলি করলে স্কুলের পঠনপাঠনের প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে।কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহি স্কুল জেনকিন্স।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মত গুরুত্বপুর্ন পরিক্ষায় বিভিন্ন সময় এই বিদ্যালয় নজর কাড়া ফল করেছে। এবছরেও রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া জেলার ৯ কৃতীর মধ্যে ৫ জনই ওই স্কুলের ছাত্র।
এমন একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ভিড় উপচে পড়ে।অভিযোগ,বিদ্যালয়ের ছাত্র ভর্তির সুপারিশ করে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতার কোপে পরেন শঙ্কর বাবু।চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সরকারি নিয়ম না মেনে রাজ্যের অন্যতম সরকারি এই স্কুলে বেশ কয়েক জনকে ভর্তির সুপারিশ করেছিল তৃনমুলের ঐ নেতা।কিন্তু এর বিরোধিতা করে সরব হন শঙ্কর বাবু।এরপরেই শাসক দলের সাথে সংঘাত শুরু হয় বলে জানা যায়। তাঁকে পুরুলিয়া জেলা স্কুলে বদলি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584