মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
সপ্তদশ লোকসভা ভোটের আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। সেই নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট নিয়ে চলছে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেই সময় ফের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন ভোটকর্মীদের একাংশ। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আজও কোচবিহার ডিসিআরসির সামনে শিক্ষকদের বিক্ষোভ। তাদের দাবী, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোট গ্রহন কেন্দ্রে যাবেন না ভোট কর্মীরা।
ভোট কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বুথ গুলিতে রাজ্য পুলিশ ভোট করালে তাঁরা শাসকদলের হয়ে কাজ করবে। এতে আশান্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হতে পারে। কেননা, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর মাসুল গুনতে হয়েছে তাঁদের। ভোটের কাজে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষত রাজকুমার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবারের লোকসভা ভোটে হানাহানি রুখতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের।
আরও পড়ুনঃ ভোট পার্বন সূচনালগ্নের ব্যস্ততা তুঙ্গে আলিপুরদুয়ারে
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের কাজ বুঝে নিয়ে আজই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁঁছে যাওয়ার কথা ভোটকর্মীদের। কিন্তু, শিক্ষকদের দাবি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পৌঁছানো থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। এই কাজে রাজ্য পুলিশ চলবে না বলেও দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ১০ হাজার ৬৬০।
মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ২০১০টি। মোট ভোটকর্মী ৮০৪০ জন। কোচবিহারে ৬০০’র বেশি বুথ স্পর্শকাতর। মোতায়েন করা হয়েছে ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০৬০টি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারে জন্য রয়েছে ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ মঙ্গলবার আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী বাড়ানো হয়েছে। মোট ৪৭ বাহিনী।
তাদের মধ্যে ৪৫ কোম্পানি বাহিনী বুথে থাকবে৷ বাকি ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী স্ট্রং রুম ও কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে৷ ভোটকর্মীদের মনে প্রশ্ন উঠছে, মোট ৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটে কোচবিহারে এলেও, অর্ধেক বুথে কেন মোতায়েন করা হচ্ছে? মূলত এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীদের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584