নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এনআরসি ও সিএএ বিক্ষোভ প্রবল হয়। দিল্লির পাশাপাশি তা একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদীদের আটকাতে রীতিমতো কলামের পর কলাম পুলিশ নামাতে হয়।
এনআরসি-সিএএ প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের মৃত্যু হয়েছে অসমে। একই প্রভাব পড়েছে লখনউ ও মেঙ্গালুরুতে।
লখনউতে গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক প্রতিবাদীর। উপকূলীয় কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে নিহত দুই বিক্ষোভকারী। প্রতিবাদ দমনের নামে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন মেঙ্গালুরু সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর, যদিও তা মানতে অরাজি পুলিশ।
Tragic news in Mangaluru.
Two people have died in police firing and two are supposedly critically injured.
The BJP is directly responsible for breakdown of law & order.
The statements and actions of the BJP govt & its leaders is creating an unnecessary provocative environment.
— ದಿನೇಶ್ ಗುಂಡೂರಾವ್/ Dinesh Gundu Rao (@dineshgrao) December 19, 2019
বৃহস্পতিবার সব চেয়ে অগ্নিগর্ভ ছিল বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও লখনউ। আদিত্যনাথের রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তা উপেক্ষা করেই মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভ আটকালে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। মাদেগঞ্জে একটি পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে একাধিক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। লখনউয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এনআরসি ও সিএএ প্রতিবাদীকারী বছর ২৫-র যুবক মহম্মদ উকিল।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সিএএ সমর্থনে মিছিলে ঘিরে ইঁট বৃষ্টি তমলুকে
পরিবারের অভিযোগ, সংঘর্ষের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হুসেনবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর উকিলকে গুলি করে মেরেছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, এই মৃত্যুর সঙ্গে বিক্ষোভের আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিজির। ঘটনা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চায়নি তারা।
মেঙ্গালুরুতেও গুলিতে নিহত হন আবদুল জলিল (৪৯) এবং নৌশিন (২৬)। এক্ষেত্রেও অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। প্রশাসনের আধিকারিকরা এই মৃত্যু নিয়ে মুখ না খুললেও, মেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, ‘হিংসার কারণে দু’জন গুলিতে নিহত হয়েছেন।’ সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সরাতে হাসপাতালে ঢুকে পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্য জনসভা থেকে হিংসাত্মক উস্কানি দিলীপের
ঘটনার পরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা পুলিশের এডিজিকে নির্দেশ দেন মেঙ্গালুরুতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘৪৮ ঘন্টার জন্য মেঙ্গালুরুতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ গত বুধবারই ইয়েদুরাপ্পা বলেছিলেন কর্নাটকে সিএএ লাগু হবে। এরপরই বিক্ষোভের তীব্রতা প্রবল হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য তিনি আশ্বাস দেন, ‘নয়া আইনে কোনওভাবেই মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে না।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584