ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
উত্তরপ্রদেশে বারেলি জেলার টিগারা গ্ৰামে দেড় ফুট অর্থাৎ আঠারো ইঞ্চি জলে ডুবে মারা গেলেন এক ধর্ষণ কাণ্ডের সাক্ষী।
সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা গেছে, ৪২ বছর বয়স্ক ধর্ষণ কাণ্ডের মৃত সাক্ষী পেশায় কৃষক। আজ শুক্রবার তাঁর এক আত্মীয়র ধর্ষণ কেসের বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার তার দেহ পাওয়া যায় সেচ দপ্তরের এক খালে এবং ময়না তদন্তে উঠে আসে যে সে জলে ডুবে মারা গেছে।
তার পরিবারের দাবি ২০১৮ সালের ধর্ষণের ঘটনায় সাক্ষী থাকার কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। বৃদ্ধের ছেলে সংবাদসংস্থাকে জানায় যে, বুধবার সন্ধ্যেবেলায় তার বাবা মাঠে জল দিতে যায়।
আরও পড়ুনঃ কোটালপুকুর স্টেশন থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এক
বাড়ি ফিরতে দেরি হলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরের দিন সকালে তার দেহ আবিষ্কার হয় মাঠের পাশেই অবস্থিত কৃষি দপ্তরের ক্যানেলে। তার শরীরে কোনো ক্ষত চিহ্ন ছিল না। তার পরিবারের আরও দাবি যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তারা ওই কৃষককে খুন করেছে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপরেই প্রশ্ন তুলে কৃষকের বড় ছেলে জিজ্ঞাসা করে, “কিভাবে একজন দেড় ফুট জলে ডুবে মারা যেতে পারে? আমরা দাবি করছে পুলিশ যাতে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।”
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে কঞ্চনকন্যার ধাক্কায় আহত ভবঘুরে
ঘটনাস্থল যে থানার অন্তর্গত অর্থাৎ হাফিজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্টেশন হাউস অফিসার(এস এই ও) মহেন্দ্র সিং যাদব সংবাদ সংস্থাকে জানান, “মনে হচ্ছে কৃষক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং কোনভাবে পা হড়কে ওই খালে পড়ে যান।
তিনি জলে ডুবে মারা গেছেন বলেই ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে। আমাদের জানা ছিল না যে তিনি কোন ধর্ষণকাণ্ডের সাক্ষী এবং আমাদের কাছে কোনো অভিযোগও জমা পড়েনি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584