সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছিল ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের সিংহলগঞ্জ বেলতলা ঐতিহাসিক মহাশ্মশান।একটা সময় যেখানে সৎকাজ করতে আসতেন সুন্দরবন ও সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলের বহু মানুষ।হুগলী নদীর তটে গড়ে ওঠা পনেরো কাঠার উপর এই শ্মশান,যা ইতিহাস হয়ে উঠছিল সংস্কারের অভাবে।
দৃশ্য দূষন,শব্দ দূষনের পাশাপাশি বায়ু দূষনে অতিষ্ট হতেন এলাকার মানুষজন।একটা সময় বন্ধ হয়ে পরছিল পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যবাহী মহাশ্বশ্মান।মৃতদেহ সৎকার্যে বেছে নিতে হতো কালিঘাট,বিষ্ণুপুর অথবা ডায়মন্ড হারবার পুরসভায়।
কারোর অর্থ বাঁচাতে নদী অথবা খালের তট বেছে নিতো যার জেরে সমস্যায় পরতেন সাধারন মানুষ ।সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে সেচ দফতরের সহযোগে সংস্করন শুরু হয় সিংহলগঞ্জ বেলতলা শ্মশানটির । পনের কাঠা জায়গায় নতুন করে সংস্কারের পর শ্মশানটিকে পুনরায় ব্যবহার করার যোগ্য করতে আগ্রহী হয় স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ধানের চারা বুনে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে শ্মশানে নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগার।পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে শ্মশানে।নিকাশি সুব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে শ্মশানটিতে।এই শ্মশান বাঁচাতে নির্মিত হয়েছে হুগলী নদীর তটে সুদীর্ঘ কংক্রিটের বাঁধ। যাত্রীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে সৌন্দার্যায়ন। হুগলী নদীতে শ্মশান যাত্রীদের জন্য নির্মিত হয়েছে কংক্রিটের ঘাট।
দৃশ্য দূষনের জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে সমাধিস্থ অগ্নিচিতার ঘর।খোলা মেলা আকাশের নিচে অন্যরুপে আজ সজ্জিত হয়েছে সিংহলগঞ্জ বেলতলার মহাশ্মশান।
যা উপকৃত হবেন মাথুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ানারা,কুলটুকারী,গবিন্দপুর , সিংহলগঞ্জ,মাথুর এলাকার মানুষ।শুধু এলাকা নয় বহু দুর-দুরান্তের মানুষ উপকৃত হবেন।মাথুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভার সদস্য ধীরাজ কুমার কয়ালের তত্ত্বাবধানে সংস্করনের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে তিনশ থেকে ৩৫০ বছর পুরোনো শ্মশানটির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584