ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে অপ্রকাশিত গণপিটুনি, ধর্মীয় হত্যার পরিসংখ্যান

0
77

ওয়েব ডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো সোমবার দেশের সাম্প্রতিকতম ঘটে যাওয়া অপরাধের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে গণ পিটুনি, ধর্মীয় কারণে ঘটে যাওয়া অপরাধের তথ্য অপ্রকাশিত রইল।

the report of crime branch | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, গণপ্রহারে মৃত্যু, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা এবং ধর্মীয় কারণে হত্যার মতো ঘটনাগুলি নতুন উপবিভাগে প্রকাশ করা হয়নি। এমনিতেই নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হল।

২০১৬ সালের রিপোর্টকেই মোটামুটি ভাবে অনুসরণ করে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সাইবার ক্রাইম এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ঘটনা।

the report of crime branch | newsfront.co
ছবিঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জানা যাচ্ছে যে, এনসিআরবি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর ইশ কুমারের নেতৃত্বে তথ্য সংগ্রহে গণ প্রহার, ধর্মীয় কারণে হত্যার মতো যুক্ত করা হয়েছিল এবং এই সমস্ত তথ্য সংগৃহীত এবং বিশ্লেষণ করে প্রকাশের জন্য রাখা হয়েছিল কিন্তু কেন সেই তথ্য প্রকাশ করা হলো না তা নিয়ে বিস্মিত তথ্য সংগ্রহে যুক্ত আধিকারিকরাও।

২০১৫-১৬ সালে দেশ জুড়ে গণপ্রহারের ঘটনা বাড়তে থাকে, বিভিন্ন কারণেই এই গণপিটুনির অপরাধ ঘটতে থাকে। তার মধ্যে চুরি, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি ছাড়াও গবাদি পশু পাচার এবং সাম্প্রদায়িক কারণেও ঘটতে থাকে এই ধরনের অপরাধ।

the report of crime branch | newsfront.co
ছবিঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এই ধরনের অপরাধের ক্রমবর্ধমান রূপ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এই সম্পর্কিত অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু তথ্য সংগৃহীত হলেও তা প্রকাশ করা হল না কেন তার কোনও উত্তর আধিকারিকদের জানা নেই।

প্রকাশিত রিপোর্টে ২০১৬ সালের তুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ ধরনের অপরাধ ২০১৬ সালে ছিল ৬,৯৮৬ টি। ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,০১৩ তে। এই বিভাগের মধ্যে রয়েছে দেশদ্রোহ, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া-আধার লিঙ্কের সমস্ত মামলা নিজের কাঁধে নিল সুপ্রিম কোর্ট

এই ধরনের অপরাধ সবচেয়ে বেশি ঘটেছে হরিয়ানায় ২৫৭৬ টি, এরপরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ২০৫৫টি। এই দুই রাজ্যেই সরকারি সম্পত্তি নষ্টের জেরেই এই ধরনের অপরাধ ঘটেছে।

দেশদ্রোহীতার অপরাধ সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আসামে, ১৯ টি। এরপরেই রয়েছে হরিয়ানা, ১৩ টি। জম্মু কাশ্মীরে দেশদ্রোহীতার একটি মাত্র অপরাধের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের দেশ বিরোধী শক্তির দ্বারা ঘটা নতুন অপরাধের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই ধরনের অপরাধে শীর্ষে আছে উগ্র বামশক্তি তারা মোট ৬৫২টি অপরাধ ঘটিয়েছে বলে প্রকাশিত। তারপরেই আছে উত্তরপূর্বের বিদ্রোহীরা তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা ৪২১টি, জিহাদি এবং অনান্যদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা ৩৭১ টি।

সব থেকে বেশি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে নকশালপন্থীরা, ৮২। ছত্তিসগঢ়ে তারা ৭২টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপরেই আছে জিহাদিরা, তাদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকান্ড ৩৬, তার মধ্যে জম্মু কাশ্মীরেই তারা ৩৬ টি হত্যা করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীরা ১০ জনকে হত্যা করেছে বলে প্রকাশিত হয়েছে তথ্য।

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে, মহিলাদের বিরুদ্ধে যত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছে স্বামী ও তার আত্মীয়দের নৃশংসতার জন্য, ৩৩.২ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে মর্যাদাহানির উদ্দেশ্যে মহিলাদের উপর আক্রমণ, ২১ শতাংশ।

শতকরা হিসাবে ২০১৭ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের বেশি ঘটনা ঘটেছে অপহরণে, ৪২ শতাংশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here