নিউজফ্রন্ট,ওয়েব ডেস্কঃ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সভা ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা।ধর্মতলা থেকে শুরু করে সিমলা স্ট্রীট পর্যন্ত অমিত শাহের রোড শো হয়। এদিন রোড শো শুরুর প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিল বিজেপি সমর্থকরা। রোড শো কলেজ স্ট্রিটে যেতেই শুরু হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা।পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ,এরকম একাধিক বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ।
অমিত শাহের সভায় টিএমসিপির সর্মথকরা কালো পতাকা দেখিয়ে “গো ব্যাক অমিত শাহ ” স্লোগান তোলে।পাল্টা প্রত্যুত্তরে বিজেপি ও টি এম সি পি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ধস্তাধস্তিতে শুরু হলে তা পরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিজেপি সমর্থকরা পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।ঘটনা বেগতিক দেখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ লরির ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র ফালাকাটা
এদিনের পুরো ঘটনা সব থেকে লজ্জাজনক বিষয় হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিদ্যাসাগর কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে বিক্ষিপ্ত সমর্থকরা আঘাত করে আবক্ষ বিদ্যাসাগর মূর্তিতে।ভেঙে ফেলা হয় বিদ্যাসাগর মূর্তিকে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অমিত শাহ সভা ঘিরে যখন রণক্ষেত্র কলকাতা তখন বিক্ষিপ্ত জনতাকে না থামিয়ে তাজা মেজাজেই নিজের সভা চালিয়ে গেলেন অমিত শাহ ।
ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ তথা বাংলার শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান পুরোধা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে আঘাতকে বঙ্গবাসীরা বাংলা সংস্কৃতিতে আঘাত বলেই মনে করছেন।রাজনৈতিক হানাহানিতে সংস্কৃতিতেও এহেন আক্রমন কখনোই কাঙ্খিত নয় বলে মত সবার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584