চিকিৎসা আর মনের জোর, খড়দহের প্রথম আক্রান্ত জানালেন করোনা জয়ের কাহিনী

0
212

নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়দহঃ

উত্তর শহরতলি ব্যারাকপুর ডিভিশনে একই দিনে দুঃসংবাদের সঙ্গে সুসংবাদ।
একদিকে যেমন শনিবার পানিহাটিতে এ দিন আরও একজন করোনা আক্রান্ত হলেন, তেমনই এই এলাকার প্রথম করোনা আক্রান্ত খড়দার ব্যক্তি সুস্থ হলেন।
এদিন দমদম নাগেরবাজার হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় তাকে ফুল এবং করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা।

হাসপাতাল থেকে বড়ির পথে করোনা খড়দহের করোনা জয়ী। নিজস্ব চিত্র

সকলের শুভেচ্ছা নিয়ে শনিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ির পথ ধরলেন ৬১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। থাকেন খড়দহ মধ্যপাড়ায়।

২৬ মার্চ শরীরে জ্বর এবং কাশি নিয়ে ভর্তি হন নাগেরবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে। শরীরে করোনা উপসর্গের লক্ষণ থাকায় তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়।

মোট ছ’বার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান করোনা জয়ী এই ব্যক্তি। প্রথম চার বার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মহামারীর কবলে পড়ে যাওয়ায় আদৌ বাঁচবেন কিনা সেই চিন্তা হয়েছিল তারও। কিন্তু মনের জোর হারাননি। ভেবেছিলেন, শেষ দেখার আগে লড়াই ছাড়বেন না। চিকিৎসা বা ওষুধ ছাড়া এই মনের জোর একজন রোগীর সুস্থ হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

আর এই ব্যক্তির মনের জোরের কাছে হার মানতেই হলো মহামারী করোনাকে। সম্প্রতি পরপর দু’বার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। আর নেগেটিভ রিপোর্টে স্বস্তি আসে ঘোষ পরিবারে। এদিন তাকে সুস্থ ঘোষণা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। করোনা জয়ী ব্যক্তির বুকে পেসমেকার রয়েছে। একবার গলব্লাডার থেকে পাথর বের করতে অপারেশন করা হয়েছিল। এছাড়া কোনও শারীরিক অসুস্থতা নেই।

কেমন হল এই করোনা অসুস্থতার অভিজ্ঞতা?তিনি জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ জ্বর এসেছিল। একদিন অপেক্ষা করেই হাসপাতলে চলে আসি। ভর্তি করে নেয় হাসপাতাল। চিকিৎসা শুরু হয়। ৩১ মার্চ জ্বর কমে যায়। দুদিন বাদে কাশিও গায়েব। তবে করোনা পজিটিভ আসায় হাসপাতালে থেকে যেতে হয়। ৩১ মার্চ লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এক সপ্তাহ বাদে আবার পজেটিভ। তার দু’দিন বাদে একই রিপোর্ট। তবে ভয় পেয়ে যাইনি। কারণ এই রোগ যন্ত্রণা দিচ্ছিল না। দিব্যি সুস্থ ছিলাম। চিকিৎসকদের অভয়বাণীও মনে জোর দিয়েছে। নিশ্চিত ছিলাম, রিপোর্ট নেগেটিভ হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে ফলাফল আপনাদের সামনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থতা বোধ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে ভয়ের কোনও বিষয় নেই। নিজেও সুস্থ হবেন।পরিবার, প্রতিবেশীরাও সুস্থ থাকবেন। কোনও লজ্জা বা ভয়ে রোগ লুকোলে নিজেও বিপদে পড়বেন আর সকলকে বিপদে ফেলবেন।’

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here