ডেস্ক নিউজ,নিউজফ্রন্টঃ
গত বছরই ভারত সরকার আইন প্রণয়ন করে পর্ন সাইট ব্যান করে দিয়েছে।বিভিন্ন ধরনের টেলিকম কোম্পানিগুলো ভারত সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলছে কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নীল ছবি দেখার প্রবণতা বাড়ছে সমাজে।আর তা বেশি করে দেখছে যুব সমাজ।যার মধ্যে অন্যতম হলো ভিগো ও টিকটক নামের দুই বিদেশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
শুরু লগ্ন থেকে হাইপস্টার নামে পরিচিত হলেও হাস্যকর কৌতুক বানানো ক্যালিফোর্নিয়ার এই অ্যাপ্লিকেশন পরবর্তীতে ভিগো নামে পরিচিতি পায়। চীনের বাইটড্যান্স নামের এক সংস্থা প্রথমে মিউজিক্যালি নামে বাজারে ছাড়লেও পরবর্তীতে এই এপ্লিকেশান টিকটক নামে বেশি জনপ্রিয়তা পায়।বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় 700 মিলিয়ন লোক এই দুটি অ্যাপ ব্যবহার করছে।
বর্তমানে ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে এই দুই বিনোদনমূলক অ্যাপের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়ে বেড়েই চলেছে।আর এই অ্যাপ বেশি ব্যবহারের প্রবণতা দেখা দিয়েছে যুব সমাজের মধ্যে।এই অ্যাপ দুটিতে শুরু লগ্নে হাস্যকর ও বিনোদনমূলক ভিডিও বানানোর প্রবণতা বেশি দেখা দিলেও বর্তমানে নোংরামির সীমানা ছাড়িয়ে দিয়েছে।আর এতে ভিডিও বানাতে বেশি লিপ্ত হচ্ছে অল্প বয়সী তরুণ তরুণী।কুরুচিকর শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও আপলোড করে তাৎক্ষণিক মজা পেলেও নিজের অজান্তে ক্ষতি ডেকে আনছে অদূর ভবিষ্যতে জন্য।
রাস্তাঘাটে,এমন কি স্কুল কলেজের ভেতরেও এই সমস্ত অ্যাপ দিয়ে বানানো কুরুচিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে।প্রকাশ্য রাস্তায় এইসব অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও বানাতে গিয়ে গরু-মোষের তাড়া খেয়েছে অনেকে।এমনকি প্রকাশ্য পার্কের ভিতর এই সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে বানানো হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও।
বর্তমানে এই অ্যাপ খুললেই মোবাইল পর্দায় ভেসে উঠছে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও।পড়াশোনাতেও প্রভাব ফেলছে কিশোর কিশোরীদের।স্কুল কলেজ থেকে পালিয়ে ভিগো টিকটক ভিডিও বানাতে ছুটছে পার্ক অথবা শপিংমলে।আর এই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ন্যাশনাল টেলিভিশন।
এমনকি উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন বাবা মা এর মধ্যে। দেশের সরকার আইন প্রণয়ন করে নীল ছবি বন্ধ করলেও এই সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে নীল ছবিতে আরো বেশি করে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ।তবে অজান্তেই এই সব বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে সুস্থ সংস্কৃতি থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584