সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

প্রশাসন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নকল আধার কার্ডের পাশাপাশি জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো।গত ইংরেজি ২৯ মে ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর ঘেরিবাড়ি এলাকায় উত্তম মন্ডলের বড় কন্যা সুজাতা মন্ডলের বিয়ে হয় ওই অঞ্চলেরই কাওরাখালি বাড়ি কার্তিক পুরকাইতের সঙ্গে।

ছেলেটি কলকাতার মিলেটারি ক্যান্টিনে রান্নার কাজ করে।সে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করছিল বলে জানা যায়।বিয়ে না করলে সেখানে থাকার জায়গা পাবে না এমনি নাকি অবস্থা।কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সবাই জানতে পারে সুজাতা মন্ডল নাবালিকা।তার বয়স হতে এখনো বেশ কয়েক মাস দেরি। আরো জানা যায় প্রতিবেশী আশা কর্মী শবরী বৈদ্য নাবালিকার বিয়েতে উপস্থিত থেকে বিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে আটকালো স্কুল কর্তৃপক্ষ


মেয়ের বাড়ির লোক কারোর সাহায্য নিয়ে কম্পিউটার থেকে আধার কার্ড এবং জন্ম সার্টিফিকেট এর বয়স বাড়িয়ে নেয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান বিয়ের দিনটি জানতে পেরে পাথর প্রতিমার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রথীন চন্দ্র দে মহাশয়কে জানালে বিডিও প্রশাসনকে জানায় বিয়ে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে।


বিয়ের দিন ঢোলাহাট থানার প্রশাসন বিয়ে বাড়িতে এসে নকল আধার কার্ড এবং জন্ম সার্টিফিকেট দেখে আসল-নকলের তফাৎ বুঝেতে না পেরে তারা ফিরে যান।আশা কর্মী শবরী বৈদ্য নিজে প্রশাসনের কাছে সত্য চেপে যায়।
পরবর্তী কালে শবরী বৈদ্য সে কথা স্বীকার করে নেন।দেখা যায় নির্দিষ্ট দিনে নিজের বাড়িতে নাবালিকা কন্যাকে না বিয়ে দিয়ে,কিছুটা দূরে উত্তম মণ্ডল তার ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে ঘটা করে বিয়ে দেয়।সেখানেই আরো সন্দেহ দানা বাঁধে দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং এলাকার মানুষের। প্রধান মহাশয়া প্রশাসনকে দেখানো জন্ম সার্টিফিকেট এবং আধার কার্ড পরীক্ষা করেন।
অফিস লেজার বার করে দেখা যায় লেজারে যে জন্ম সার্টিফিকেট অর্থাৎ আসল সার্টিফিকেট তার জন্ম তারিখ ২৬.০২.২০০২ তখন আধার কার্ড টিকে ভালোভাবে দেখে বোঝা যায়। কেউ না কেউ কম্পিউটার থেকে আধার কার্ড ২০০২ সালের জায়গায় ২০০১সাল করেছে।
পাথরপ্রতিমা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি প্রশাসনকে বলে এর তদন্ত শুরু করছেন।বর্তমানে যে নাবালিকার বিয়ে হয়েছে তার কি হবে এটাও প্রশ্ন এলাকার মানুষের।নকল আঁধার বানিয়ে এভাবে বিয়ে রীতি মতোন প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে প্রশাসনিক মহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584