পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
ব্যাঙ্ক আর আয়কর দফতরের বেড়াজালে পরে প্রায় না খেয়ে দিন যাপন করছেন রায়গঞ্জ শহরের স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিধবা স্ত্রী বেলারানী মুখার্জী৷

অভিযোগ, স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিধবা স্ত্রী হিসাবে পাওয়া পেনশনের অধিকাংশ টাকায় প্রতিমাসেই কেটে নেওয়া হচ্ছে আয়কর বাবদ।
বৃদ্ধার বারংবার অভিযোগ করে মিলেছে শুধুই সুরাহার আশ্বাস। এবিষয়ে ব্যঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমের সাথে দেখা করতে রাজি না হলেও শহরের চার্টাড এ্যকাউন্টেন্ট শ্যাম আগরওয়ালা জানিয়েছেন, এভাবে আয়কর কাটার কোনো নিয়ম নেই।

রায়গঞ্জ শহরের দক্ষিণ বীরনগর এলাকার প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী স্বদেশ রঞ্জন মুখার্জীকে উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশিরভাগ মানুষই চেনেন। ২০০৩ সালের ১১ ই আগষ্ট তাম্রফলক প্রাপ্ত এই স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত হন। প্রায় একমাসের মধ্যেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন এ্যাকাউন্ট পারিবারিক পেনশন এ্যকাউন্টে পরিবর্তিত হয়। প্রয়াত স্বদেশ রঞ্জন মুখার্জীর বিধবা স্ত্রীর সরকারী অনুদান পাওয়া শুরু হয়ে যায়। সবকিছু ঠিকই চলছিল৷ আচমকা ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বেলারানী মুখার্জীর পেনশন এ্যকাউন্ট থেকে পেনশনের বেশীরভাগ টাকা আয়কর বাবদ কেটে নেওয়া হয়। বেলারানী দেবী ব্যঙ্ক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে এই ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বাস পান। তারপর নভেম্বর মাসেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, এটা আয়কর দফতরের সমস্যা বলে অভিযোগ। তখন সেই দফতরে ছুটে যান অশীতিপর বৃদ্ধা, সেখান থেকে জানানো হয় এটা ব্যাঙ্কের সমস্যা। যা টাকা কাটা হয়েছে সেই টাকা এপ্রিল মাসের মধ্যে এ্যাকাউন্টে ফেরতের আশ্বাস দেন ইনকাম ট্যাক্সের আধিকারিকরা।

কিন্তু এরপরেও ডিসেম্বর মাসেও সেই একই ভাবে বৃদ্ধার এ্যকাউন্ট থেকে ইনকাম ট্যাক্সের টাকা কেটে নিয়েছে ব্যঙ্ক বলে অভিযোগ।
তাম্রফলক প্রাপ্ত প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঅসহায় বিধবা তিন মাস ধরে চিকিৎসা ও ওষুধ বিনা দিনযাপন করছেন৷ তার ছেলে ইলেকট্রিক ওয়ারিং মিস্ত্রি কোনো সময় কাজ জোটে কোনো সময় কাজ জোটেনা ছেলের। ফলে সব মিলিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবার৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584